মাত্র কিছুদিন আগেও তার ব্যাটে ঠিকমতো রান আসছিল না। বাংলাদেশ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় কম সমালোচনা শুনতে হয়নি দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার সৌম্য সরকারকে। তবে সুখবর হলো, তিনি রানে ফিরেছেন।
এদিকে, চলমান বিপিএলে রংপুর রাইডার্স দলের সঙ্গে আছেন, নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছেন সৌম্য। চট্টগ্রামে শুক্রবার ম্যাচের আগে মাঠে রংপুরের দলীয় বৃত্তেও তাকে দেখা গেল। কিন্তু একাদশে তার নাম নেই। নেটে ফিরলেও ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। ফিরতে যদিও মুখিয়ে আছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, তবে মরিয়া নন একদমই। তাড়াহুড়ো করে নিজের বিপদ ডেকে আনতে চান না একদমই।
রংপুরের বিপিএল পরিকল্পনায় এবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাজুড়ে ছিলেন সৌম্য। বিপিএলের আগে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে রংপুরের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান। ওই আসরে তিনি ছিলেন ‘ম্যান অব দা ফাইনাল’ ও ‘ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট’। সেই ক্রিকেটার বিপিএলে একটি ম্যাচও খেলতে পারছেন না চোটের কারণে।
কবে খেলতে পারবেন, সুনির্দিষ্ট করে জানা নেই তার কিংবা কারও। সৌম্য বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে মাঠে আসতে পেরেছি। মাঠে এসে অনুশীলন করেছি, এটা খুবই ভালো। আজকে দ্বিতীয়-তৃতীয় দিন ব্যাটিং করলাম। আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। যেহেতু আমরা ক্রিকেটার, সবসময়ই ভালো লাগে মাঠে আসতে, কাজ করতে।’
সতীর্থরা যখন মাঠ মাতাচ্ছেন ব্যাটে-বলে, তার দল টুর্নামেন্টে ছুটে চলেছে অপ্রতিরোধ্য জয়রথে, বাইরে থেকে দেখতে খুব ভালো লাগার কথা নয় সৌম্যর। তবে অতি তাড়ায় বিপদ বাড়ানোর ইচ্ছেও তার নেই।
তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করছি (দ্রুত মাঠে ফিরতে)। তবে এখানে জোরাজুরি করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্যাটিং করছি এখন, কিন্তু ফিল্ডিংয়ের কোনো কিছু এখনও ওইভাবে করা হয়নি। আস্তে আস্তে যেতে হবে, যেগুলো প্রক্রিয়া আছে, সেসবের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ফিজিও, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। উনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি (ব্যাটিং) শেষ করে আমার ফিডব্যাক ফিজিওকে বলেছি। উনি আবার বাড়তি কিছু কাজ দিয়েছেন। এরকমভাবেই চলছে, চেষ্টা যত দ্রুত সম্ভব ফিরতে।’