আর্জেন্টিনার ভাঙা দলটার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। প্রথমে অস্থায়ী, পরে হলেন স্থায়ী কোচ। স্বয়ং আর্জেন্টানরাই তার বিরোধিতা করল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ভাঙা দলটাকে একটু একটু মেরামত করলেন, শান দিলেন, গড়লেন। লিওনেল মেসির সতীর্থ হলেন তার কোচ।
২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল লিবিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অভিষেক হয় স্কালোনির। ২০০৬ বিশ্বকাপে সৌভাগ্যক্রমে জায়গা পান বিশ্বকাপ দলে। মাত্র ১ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় পুরো টুর্নামেন্টে। খেলোয়াড়ি জীবন দীর্ঘ হয়নি তার।
২০১৯ সাল থেকে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত! ৩৬ ম্যাচ আনবিটেন থেকে বিশ্বকাপে যাত্রা আর্জেন্টিনার। তার আগে ২৮ বছরের আন্তর্জাতিক শিরোপা খরা কাটিয়ে স্কালোনির কোচিংয়ে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা, ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা জয়।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই উড়ন্ত আর্জেন্টিনার হোঁচট। অপ্রত্যাশিতভাবে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হার। সেই প্রথম ম্যাচ হেরেও ডাগআউটে যে ঠান্ডা মেজাজের, বিচলিত হওয়া ছাড়া স্কালোনিকে দেখা গেছে, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েও ৮ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ফাইনালে তোলা স্কালোনিকে দেখা গেছে একই মুখভঙ্গিতে। যেন ভাবলেশহীন।
ফাইনালে ট্রাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা কাটিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ ঘরে তোলে। সেদিনও স্কালোনি যথাসম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেননি। পুরো টুর্নামেন্টের আবেগ একসাথে তাকে ভর করেছিল।
তরুণ একটা দলের কাকে কোথায় কাজে লাগিয়ে সেরাটা তুলে আনতে হবে, সেটা খুব ভালোভাবেই জানতেন স্কালোনি। তাই তো তিনি হলেন আর্জেন্টিনার `ঠান্ডা মাথার কোচ।`
আজ মাস্টারমাইন্ডের ৪৫তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন লিওনেল স্কালোনি।