বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট পর শুরু হয়েছে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যানদের ছন্দপতন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কান টপ অর্ডাররা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৭ ওভার ১ বলে ৬ উইকেটে ১৮ রান।
টস জিতে লঙ্কানদের হয়ে শুরুটা করতে আসেন দুই ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। ভারতের হয়ে শুরুটা করেন বল হাতে জাসপ্রীত বুমরাহ। বুমরা যে কতটা ভয়ঙ্কর বোলার তার প্রথত তিন বলেই বুঝা গেল। তার বলের শুরুটা হয় আউট সুইং দিয়ে। সে বল থেকে সিঙ্গেল নেন নিসাঙ্কা। এরপরের বল ইনসুইং আবার তৃতীয় বল আইট সুইং। বোলারের এমন মুভমেন্টে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করাটা সুবিধা হবে না। ঠিক তাই হল, কুশল পেরেরাও টিকলেন না বুমরার বলের সামনে। আগের বলটি ভেতরে ঢুকেছিল, পেরেরা খেলতে গিয়েও মিস করেছিলেন। এবার বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে এজড হলেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি ওপেনার। বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটকিপার লোকেশ রাহুলই। তৃতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলের রান তখন ১। আর পেরেরা আউট শূণ্য রানে।
এরপর সিরাজ ম্যাজিক। বল হাতে তৃতীয় ওভারে এসেই ৬ বলে তুলে নিলেন চার উইকেট। যার শুরুটা ২ রান করা পাতুম নিসাঙ্কাকে তুলে। এরপর সামারাবিক্রমাকে ফেরান ভারতীয় এই পেসার। ২ বল খেলা সামারাবিক্রমা আউট হন এলবিডব্লিউ। ফেরার আগে নামের পাশে স্কোর শূণ্য। পরের বলে বিদায় চারিত আসালাঙ্কা। উইকেটে এসে চার দিয়ে ইনিংস শুরু করা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বিদায় নেন পরে বলেই। দাসুন সানাকা ও কুশল মেন্ডিসের ওপর ভরসা ছিল লঙ্কান ভক্তদের। কিন্তু লঙ্কান অধিনায়ককে তৃতীয় ওভারে এসেই ফিরিয়ে দেন সিরাজ। ৪ বল খেলে সানাকা ফেরেন শূণ্য রানে। ১২ রান তুলতেই লঙ্কানরা হারায় তাদের ছয় উইকেট। ৩ ওভার বোলিং করে সিরাজ ৪ রানে নিন ৫ উইকেট।