এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে মোহাম্মাদ সিরাজের বোলিং তোপে উড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৫০ রানে অল-আউট হয় লঙ্কানরা। সেই ম্যাচে এক ওভারে ৪ উইকেটসহ ভারতীয় এই পেসার ২১ রান খরচে নিয়েছিল ৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন এই পেসার। এই ডান হাতি পেসারের কল্যাণে ভারত ১০ উইকেটের জয়ে এশিয়া কাপের অষ্টম শিরোপা ঘরে তোলে। তার এমন ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্সের কারণে আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
সিরাজ ৮ ধাপ এগিয়ে আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফিরেছেন। তার বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৬৯৪। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠেন সিরাজ। তবে মার্চেই অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউডের কাছে রাজত্ব হারাতে হয় তার।
এশিয়া কাপে ১২ দশমিক ২ গড়ে সিরাজের মোট উইকেট শিকার করেছেন ১০টি। এই পারফরম্যান্সের কারণেই হ্যাজলউড, রশিদ খান, ট্রেন্ট বোল্টদের পেছনে ফেলে রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেতে পেরেছেন তিনি। আফগানিস্তানের দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন।
দুই ধাপ এগিয়ে মুজিব এখন চারে। রশিদ এগিয়েছেন ৩ ধাপ, আছেন ৫ নম্বরে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১৬ দশমিক ৮৭ গড়ে ৮ উইকেট নিয়ে ১০ ধাপ এগিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনারের বর্তমান আছেন ১৫তম স্থানে।
সিরাজের চেয়ে ১৬ রেটিং পয়েন্ট পিছিয়ে ২ নম্বরে হ্যাজলউড। তিনে থাকা বোল্ট অস্ট্রেলিয়ান পেসারের চেয়ে পিছিয়ে মাত্র ১ পয়েন্টে। ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবস্থান সাকিব আল হাসানের, তিনি আছেন র্যাঙ্কিংয়ে ১৪ নম্বরে। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়ার পরও মোস্তাফিজুর রহমান তিন ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ২৯ নম্বরে।