সিকান্দার রাজাকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন মনে করা হয়। আইপিএল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিকান্দার রাজাই যেন মনে করাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের নামটা। গাম্বিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির ইতিহাস বদলে দেয়া এক ম্যাচেও রাজাই ছিলেন নায়ক হয়ে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এতদিন দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল নেপালের দখলে। সেটাই ভাঙলো বুধবার জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ব্যাটে ভর করে।
মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল। তবে বুধবারের ম্যাচে সেটি ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখেছে জিম্বাবুয়ে। গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৪৪ রান করেছে রোডেশিয়ানরা। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে অপরাজিত ১৩৩ রান করেছেন সিকান্দার রাজা। এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহানের পর টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছেন সিকান্দার রাজা। অবশ্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের হিসেবে তিনিই ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে সবচেয়ে কম বল খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
এমন এক ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সের পর ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ও হয়েছেন রাজা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা তার ১৭তম ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হওয়ার ঘটনা। এই তালিকাতেও এখন সবার ওপরে আছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলি, সুর্যকুমার যাদব এবং মালেশিয়ার ভিরানদ্বীপ সিংকে।
১৭ বারের মতো ম্যাচসেরা হতে সিকান্দার রাজা খেলেছেন ৯৫টি । আর ১৬ ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে বিরাট খেলেছেন ১২৫টি ম্যাচ। সুর্যকুমার খেলেছেন সবচেয়ে কম ৭৪ ম্যাচ। আর ভিরানদ্বীপের খেলা হয়েছে ৮৪ ম্যাচ। আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবী আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। ১২৯টি ম্যাচ খেলে ১৪ বার হয়েছেন ম্যাচসেরা।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার গিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে। ১২৯টি ম্যাচের ক্যারিয়ারে সদ্য টি-টোয়েন্টিতে সাবেক হওয়া এই ক্রিকেটার ম্যাচসেরা হয়েছেন ৭ বার। সার্বিক বিচারে ম্যান অব দ্য ম্যাচের তালিকায় আছেন সপ্তম স্থানে।