• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩, ০২:৪২ পিএম
শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের নামে প্রতিবছর পুরস্কার দিয়ে থাকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ বছর তারই ধারাবাহিকতায় ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩’-এর জন্য ৮টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেয়া হয়।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত

পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে আজীবন সম্মাননা পান আবদুস সাদেক। খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পান বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ ও ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম। উদীয়মান খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয় মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় ও আমিরুল ইসলামকে।

ক্রীড়া সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান খন্দকার তারেক মো. নুরুল্লাহ। ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরস্কার পান আতাহার আলী খান। এ ছাড়া ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার পান মালা রানী সরকার ও ফজলুল ইসলাম। ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে পুরস্কার পায় বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। আর ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুরস্কার পায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

আজীবন সম্মাননা পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক বলেন, “শেখ কামাল ছিলেন দেশের ইতিহাসে সফল ক্রীড়া সংগঠন। তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা। শেখ কামাল ছিলেন আমাদের অহংকার। ”

 মাত্র ২৬ বছর বয়সের জীবনে তিনি দেশকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। আধুনিক চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে অনেকটা পথ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, “শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারতেন। ঘাতকরা সেই সুযোগ দেয়নি। তবে শেখ কামাল যে পথ দেখিয়ে গেছেন আমরা তা অনুসরণ করতে পারলে আরও বেশি সাফল্য নিয়ে আসতে পারবো।”
একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী "বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি" প্রদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন হতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর হতে ক্রীড়াক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য প্রথমবারের মতো ৫ম শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক ১ হাজার টাকা হারে বাৎসরিক ১২ হাজার টাকা এবং একাদশ শ্রেণি হতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক ২ হাজার টাকা হারে বার্ষিক ২৪ হাজার টাকা করে মোট ৫০০ জনকে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকজনের হাতে এ বৃত্তি তুলে দেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত আবদুস সাদেক এবং সাবিনা খাতুন।

Link copied!