• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে শারজা, সাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে শারজা, সাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে। এটা হবে শারজা স্টেডিয়ামে ৩০০তম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। বিশ্বের আর কোনো স্টেডিয়ামে এমন রেকর্ড হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি স্টেডিয়ামেও খেলা হয়েছে ৩০০-এর কাছাকাছি। তবে সবার আগে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে শারজা। এই রেকর্ডের সাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশও।

নব্বই দশকের গোড়ার দিক থেকে এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং আমিরাতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বহুলোকের বসবাসের কথা মাথায় রেখেই এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়।

ক্রিকেটের বহু ঐতিহাসিক ঘটনা আর ম্যাচের সাক্ষী হয়ে আছে শারজা স্টেডিয়াম। ভারত-পাকিস্তানের অনেক ঐতিহাসিক দ্বৈরথ দেখেছে এই স্টেডিয়াম। প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের অ্যাওয়ে সিরিজের আয়োজক হচ্ছে শারজা।

শারজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের স্মৃতি অবশ্য খুব একটা ভালো নয়। ১৯৯৫ সালে সবশেষ এখানে ওয়ানডে খেলেছিল টাইগাররা। ৬ ওয়ানডে খেলায় জয় নেই একটি ম্যাচেও। আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামবে সেই বিব্রতকর রেকর্ড ঘুচাতে। ২৯ বছর পর এই মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। মাঝে টি-টোয়েন্টি খেললেও অবশ্য তাতে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা।

কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল এই স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচ ছিল শারজা স্টেডিয়ামে ২৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ।

১৯৮৪ সালে তৈরি করা হয় শারজাহ স্টেডিয়াম। শতবর্ষী অনেক স্টেডিয়ামের তুলনায় অনেক বেশি ম্যাচ আয়োজন করেছে শারজা স্টেডিয়াম। বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে ২০০ ওয়ানডে ম্যাচের আয়োজক এই মাঠ।

২৯ বছর পর শারজাহর এই মাঠে খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্ত এক দলকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তান প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে এ মাঠেই। এর আগে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে আর আয়ারল্যান্ডকেও। ২০১৭ সালের পর শারজায় খেলা কোনো সিরিজ হারেনি রশিদ খানরা।

৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচের এই যাত্রায় ২০১৮ সালে আইসিসি অন্ধ বিশ্বকাপ, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৪ সালের আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের আয়োজক ছিল এই স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া চলতি বছরের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচও হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। ২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও উঠেছিল এই স্টেডিয়ামের নাম।

 

Link copied!