গেল বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট নিলেও পরবর্তীতে ভারতীয় দলে মোহাম্মদ শামির আর ঠাঁই হচ্ছিল না। এখানে ইনজুরিও ছিল তার পথের কাঁটা। কিন্তু ইনজুরিমুক্ত হওয়ার পরও লাল বলের দলে শামিকে নেওয়াটা কষ্টকরই হয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে। অবশ্য, একথা মানতেই হবে, একবার দূরে সরে গেলে যে কোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করা কঠিন হয়ে উঠে। ভারত অসংখ্য তারকা খেলোয়াড়ের দেশ বলেই এমনটি হয়ে থাকে। তবে এক বছর পর প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ফিরে শামি অসামান্য নৈপূণ্য প্রমাণ দিলেন তিনি মোটেও ফর্ম হারাননি।
প্রায় এক বছর পর ক্রিকেটে ফিরেই চমক দেখালেন ভারতের পেস তারকা শামি। ভারতের রঞ্জি ট্রফিতে ফেরার ম্যাচেই ৭ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি এই পেসার। শামির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবার নজর কেড়েছে বিসিসিআই কর্মকর্তাদের।
পশ্চিমবঙ্গ দলের হয়ে মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে ৪৩.২ ওভার বল করে ৭ উইকেট দখলে নেন শামি। এতে ১১ রানের জয় পায় তার দল। ১৩-১৬ নভেম্বরের ওই ম্যাচের পর ভারতীয় এক গণমাধ্যম দাবি করেছে, শামির পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বোর্ডকর্তারা। তাকে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঠানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন ডানহাতি পেসার।
গেল শনিবার পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি এখনো দলের সঙ্গে যোগ দেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিতের সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ার বিমানে চড়তে পারেন শামি।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি হবে পার্থ স্টেডিয়ামে ২২ নভেম্বর থেকে। এই ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই শামির। তবে পরের ম্যাচগুলোতে দেখা যেতে পারে ডানহাতি এই পেসারকে। পরের চার টেস্ট হবে ৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডেলিড, ১৪ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবান, ২৬ ডিসেম্বর থেকে মেলবোর্ন এবং ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বল হাতে শামি মাত্র ৭ ম্যাচ খেলেই আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (২৪) হন।
এর আগে শামিকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া সফরের দল ঘোষণা করেছিল ভারত। এবার হয়তো তার ভাগ্য খুলে যাবে।