ক্যারিয়ারের শুরুর দিন থেকেই যিনি যুদ্ধ করে চলেছেন, তার কি আর যুদ্ধে না জড়িয়ে উপায় আছে? একাদশে সুযোগ পাওয়া, বলে না হয় ব্যাটে কিংবা বলে-ব্যাটে উভয় দিকেই ভালো করা, দেশকে জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা, দলের সতীর্থদের প্রেরণা যোগানো- কি না করেছেন সাকিব আল হাসান। তারপরও তার টেস্ট নিয়ে স্বপ্ন পূরণ হলো না। দেশের মাটিতে এই ফরম্যাট থেকে বিদায় বলতে পারলেন না।
সাকিবের অপরাধ, তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। বৈষম্যহীন তৈরি দেশে তিনি হলেন প্রথম বৈষম্যের শিকার। খেলতে পারলেন না মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট।
এবার জানা গেল, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী ৬ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া তিন ওয়ানডের সিরিজে খেলবেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের বিষয়ে বলবো যে যেহেতু দল (আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে) এখনও দেওয়া হয়নি, তার মানে সে (সাকিব) বিবেচনায় আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলতে সাকিবকে বোর্ড নিষেধ করেছে, বিষয়টি স্পষ্ট করতে ফারুক বলেন, ‘সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ায় বোর্ড কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। আমরা সেই পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত নই। আইন প্রয়োগকারী বাহিনী, সরকার এবং সাকিব (জড়িত) ছিল। আমরা শুধু সহায়ক ভূমিকা রেখেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যাতে সাকিব ঘরের মাঠ থেকে অবসর নিতে পারে।’
ফারুক বলেন, ‘সাকিব শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি গত সরকারের (পতিত শেখ হাসিনা সরকার) আমলে একজন এমপি ছিলেন। সেখানেও কিছু বিষয় আছে। সব মিলিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা আর ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা এক ছিল না। একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমি দেখেছি একটা ছেলে ক্রিকেট খেলেছে ১৭ বছর। সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর, সে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করেছে এবং আমি বিশ্বাস করি এটি (খেলতে পারলে) ভালো হতো।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোমভেন্যু বানিয়ে এই সিরিজ আয়োজন করবে আফগানিস্তান। ৬ নভেম্বর হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। এরপর ৯ ও ১১ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।