শুক্রবার রাতের কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন এনরিখ ক্লাসেন। বোলিংয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আসা শাহবাজ আহমেদও বিস্ময়কর কাজ করেছেন এবং এদিনের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যে কারণে শাহবাজকে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও দেওয়া হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া ভারতীয় অলরাউন্ডার শাহবাজ ম্যাচশেষে বলেন, ‘অধিনায়ক ও কোচ আমাকে বলেছিলেন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আমরা আপনাকে ব্যবহার করব, আমার ভূমিকা ছিল নীচের অর্ডারে ব্যাট করা এবং তারা বলেছিল যদি আমরা ভেঙে পড়ি আমরা আপনাকে পাঠাব। যখন আমি ব্যাটিং করতে আসি, তখন আমার মনে হয়েছিল যে এই উইকেটে কিছু আছে এবং যেভাবে আবেশ ও সন্দীপ বোলিং করেছে সেটা পরিষ্কার হয়েছিল। এমন খেলায় ম্যাচসেরা হয়ে আমি গর্বিত, ক্যাম্পে পরিবেশটা বেশ স্বস্তিদায়ক।’
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হুঙ্কার দিয়ে শাহবাজ বলেন, ‘কলকাতার বিপক্ষে ফাইনাল জেতার পরই আমরা আসল উদযাপন করব, এই রাতে আমরা আরাম করব।’
কলকাতা ও হায়দরাবাদের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে রোববার রাতে চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে। যেখানে কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হয়।
জয়ের পর দলের হিরো শাহবাজ যখন টিম হোটেলে কেক কাটেন তখন উমরান মালিক তার মুখে কেক লাগিয়ে দেন। তখন তার সতীর্থরা এক প্রকার কেক দিয়ে শাহবাজের ওপর হামলা চালান।
হোটেলে কেক কাটতে আসেন অভিষেক শর্মা ও শাহবাজ। শাহবাজ এই কেক পার্টির পর বলেন যে, তিনি খুশি যে দল ফাইনালে উঠেছে এবং তিনি চান হায়দরাবাদ শিরোপা জিতুক।
ম্যাচে শাহবাজ প্রথমে ব্যাট হাতে ১৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি একটি ছক্কাও হাঁকান। দলকে ১৭৫ রানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় ভূমিকা পালন করেন শাহবাজ। এরপরে বল হাতে করেন আসল কাজ। নিজের ৪ ওভারের কোটায় ২৩ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন বাঙালি খেলোয়াড় শাহবাজ। তার বোলিং ইকোনমি রেট ছিল ৫.৮০।