পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাদাব খান অভিনেত্রীদের মেসেজ পাঠানো প্রসঙ্গে খোলাখুলি মত প্রকাশ করেছেন। এবং তিনি দাবি করেছেন যে অনেক সময় বিষয়গুলো অতিরঞ্জিত করে বলা হয়। শাদাব খান জানিয়েছেন অভিনেত্রীরা শুধুমাত্র খ্যাতির জন্য এ সব বিষয় সামনে আনেন।
জিও নিউজের ‘হাসনা মানা হ্যায়’ শো-তে এক ভক্ত শাদাব খানকে প্রশ্ন করেন, ‘অনেক অভিনেত্রী দাবি করেন যে ক্রিকেটাররা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পাঠান, আপনি কি কখনও কোনও অভিনেত্রীকে মেসেজ পাঠিয়েছেন?’ এর জবাবে শাদাব খান বলেন, ‘যদি ক্রিকেটাররা মেসেজ পাঠিয়েও থাকেন, তাতে দোষের কী আছে?’
শাদাব খান আরও বলেন, ‘প্রত্যেকেরই ব্লক করার অপশন থাকে, তাই যদি পছন্দ না হয়, তাহলে উত্তর দেবেন না। তবে অনেক সময় অভিনেত্রীরাও মেসেজের জবাব দেন এবং আগ্রহ দেখান। যেন তারা কথোপকথন চালিয়ে যেতে চান।’
এই শো চলাকালীন শাদাব খান আরও জানান যে ক্রিকেটারদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনা হয় যে কে, কোন অভিনেত্রীকে মেসেজ পাঠিয়েছে। ২৬ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমরা অনেক ভিডিয়ো দেখেছি যেখানে ব্যাপারগুলো অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু বাস্তবতা এমনটা নয়। কিছু অভিনেত্রী কেবল খ্যাতি অর্জনের জন্য এমন করেন। বিশেষ করে যখন কোনও টুর্নামেন্ট বা বিশ্বকাপ চলতে থাকে। তখন এমন ঘটনাগুলো সামনে আসে, কারণ তখন সকলের নজর ক্রিকেটের দিকে থাকে।’
গত বছর পাকিস্তানি নারী টিকটকার শাহতাজ খান দাবি করেছিলেন যে, শাদাব খান তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামে কথা বলতেন এবং তিনি শাদাবকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মালাইকার সঙ্গে বিবাহিত জীবন-যাপন করছেন, যিনি কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাকলাইন মুস্তাকের কন্যা। তবে শাহতাজ খান দাবি করেন যে, তিনি শাদাবের বিয়ের ব্যাপারটা জানতেন না।
শাহতাজ খান বলেছিলেন, ‘শাদাবের বিয়ের খবর শুনে আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম, এমন অনুভূতি আসতেই পারে। এ প্রসঙ্গে শাদাব বলেন, ‘এ সব দাবির কোনও ভিত্তি নেই, যা বলা হচ্ছে, তেমন কিছুই ঘটেনি।’