বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে নারী বিশ্বকাপের দামামা চলছে। এবার বিশ্বকাপ চলাকালে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে নিজ দেশের কোচের বিরুদ্ধে। জাম্বিয়া কোচ ব্রুস মুয়াপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন জাম্বিয়া দলের এক নারী ফুটবলার। জাম্বিয়া কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি তিনি সংবাদ সম্মেলনে অস্বীকার করেছেন। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
যৌন হয়রানির বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপের নিজেদের শেষ ম্যাচের দুই দিন আগে অনুশীলন শেষে নিজ দলের এক ফুটবলারের বুকে হাত দেন জাম্বিয়া কোচ। সেটা দেখে ফেলেন দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়।
দ্যা গার্ডিয়ানকে একটি সূত্র জানিয়েছে, “একজন কোচ হয়ে ফুটবলারদের বুকে স্পর্শ করাটা সঠিক কাজ নয়।”
এই ঘটনা দেখে ফেলা ফুটবলাররা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলার পর অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন সবাই। যৌন হেনস্তার অভিযোগটি পেয়ে ফিফার এক মুখপাত্র বলেন, “জাম্বিয়া নারী দলের সঙ্গে সস্পর্কিত একটা অভিযোগ পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করছি আমরা। যা এখন তদন্ত করা হচ্ছে। ফিফা যেকোনো অসদাচরণের অভিযোগ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এবং ফুটবলে যে কেউ কোনো ঘটনার রিপোর্ট করতে চাইলে এর একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সুস্পষ্ট গোপনীয়তার কারণে আমরা চলমান তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।”
এর আগেও এই কোচের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জাম্বিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তদন্ত করে। কিন্তু সেই তদন্তের ফলাফল কী হয়েছিল সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি গার্ডিয়ান।
বিশ্বকাপের সময় জাম্বিয়া কোচ মুয়াপে তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগটি অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কোন ব্যাপারে কথা বলছেন আপনারা (সাংবাদিক), আমি জানতে চই। হয়তো গণমাধ্যমে যা পড়েছেন সেটা আপনার কারণ হতে পারে। তবে এই বিষয়ে সত্যটা বেরিয়ে আসা উচিত। শুধু গুজবের ওপর ভিত্তি করে এমনটা বলা যায় না।”
প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা জাম্বিয়া গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে গিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ জাপান ও স্পেন কাছে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারে। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চমক দেখায় কোস্টারিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরে গিয়েছে আফ্রিকার দলটি।