ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক থেকে পাওয়া ফিরতি শট জালে দারুণ এক ভলিতে জালে জড়ান কৌলিবালি। তাতেই ২-১ ব্যবধানে সেনেগালের জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে কোনো ধরনের সমীকরণের মারপ্যাঁচ ছাড়াই বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন তারা। এর আগে ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে খেলেছিল দলটি।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে সেনেগাল ও ইকুয়েডর। ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকে ইকুয়েডরের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে আফ্রিকা সেরারা।
ম্যাচের ২ ও ৩ মিনিটে পাওয়া দুই সুযোগ মিস করে সেনেগাল। পরে আরও কয়েকবার সুযোগ মিসের মহড়া দিয়েছে দলটি। অবশেষে ম্যাচের ৪২ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগায় সেনেগাল। আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের খেলোয়াড় ইসমাইলা সারকে ডি-বক্সে ফাউল করেন পিয়েরো হিনকাপি।
পেনাল্টি থেকে পাওয়া সুযোগে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি ইসমাইলা সার। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সেনেগাল। বিরতি থেকে ফিরে সমতায় ফিরতে মরিয়া থাকা ইকুয়েডর গোলের দেখা পায় ৬৭ মিনিটে। কর্নার থেকে পাওয়া বল জালে জড়িয়ে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান মোয়েসেস ক্যাসোডো।
এর মিনিট তিনেক পর আবারও লিড নেয় সেনেগাল। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন কৌলিবালি। ফ্রি কিক থেকে সেনেগাল গোল করতে ব্যর্থ হলেও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল ফেরত এলে সেটি জালে জড়ান কৌলিবালি। এতেই নিশ্চিত হয় সেনেগালের শেষ ষোলোতে খেলা। গোল করার সময় পুরোটা সময়ই আনমার্কড ছিলেন কৌলিবালি। সেই সুযোগটাই ভালোমতো কাজে লাগিয়েছেন।
কাতারকে হারিয়ে দারুণভাবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ইকুয়েডর। দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করেছিল ড্র। দারুণ শুরুর পরও গ্রুপ পর্বেই থমকে গেল দলটির বিশ্বকাপ যাত্রা। বিপরীতে সেনেগাল বিশ্বকাপ শুরুর আগে হারিয়েছিল দলের সেরা তারকা সাদিও মানেকে। শুরুতে ডাচদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা সেনেগাল হারিয়েছিল কাতারকে। এবার ইকুয়েডরের যাত্রা থামিয়ে শেষ ষোলো খেলবে তারা।