অসাধারণ ফুটবল কোচিং দক্ষতা তার। অ্যালিউ সিসের অধীনেই প্রথমবার আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স বা মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব পায় সেনেগাল। সাদিও মানে, এদুয়ার্দো মেন্ডি, কালিদু কুলিবালিদের সময়ের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনেও ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে হয়েছেন আফ্রিকান ফুটবল কোচ অব দ্য ইয়ার। ২০২৩ সালেও সেরা কোচদের কাতারে ছিল তার নাম।
অথচ এই সিসেই বিগত ছয় মাস ধরে বেতনহীন। সেনেগালের স্থানীয় সূত্রে এই খবর জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম। স্পোর্টস নিউজ আফ্রিকার খবরে বলা হয়েছে, শেষ ছয় মাস মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ ইউরো জমে আছে অ্যালিউ সিসের। শুধু এখানেই শেষ না দুর্গতি। এই ছয় মাসে তার কোচিং স্টাফের বাকি সহকর্মীরাও কাজ করছেন বিনা বেতনে।
যদিও এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনোপ্রকার মন্তব্যই করেনি সেনেগালের ফুটবল ফেডারেশন। অন্যদিকে সিসে নিজেও এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। মাসে তার বেতন ৩০ হাজার ইউরো। তবে এই বেতনের টাকা বাদ দিয়েই নিজের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এছাড়া বেতন না পাওয়ার এই সময়েই ২০২৩ সালের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের বাছাইপর্বে দলকে জিতিয়েছেন। শেষ করেছেন ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডও।
অবশ্য এসব ছেড়ে তার লক্ষ্য আগামী জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে। আইভরিকোস্টে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে আফকনের এবারের আসর। সেখানে ‘গ্রুপ-সি’ তে আছে দলটি। গাম্বিয়া, ক্যামেরুন এবং গিনির বিপক্ষে লড়তে হবে তাদের।
লায়ন্স অফ তেরঙ্গার দায়িত্ব সিসে নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এরপর থেকেই দেশটির ফুটবল বদলে যাওয়ার শুরু। ৪৭ বছর বয়েসী এই কোচের অধীনে ২০১৯ আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে রানার্সআপ হয় সেনেগাল। ২০২১ সালেই তা জয় করে দলটি। এর একবছর পরেই অংশ নেয় বিশ্বকাপে।