বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই ভারত সুবিধা পাচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠেছে বারবার। যা বাদ যায়নি সেমিফাইনাল ম্যাচেও। আজ(বুধবার) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচের আগে, ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেইল অনলাইন দাবি করেছে-রোহিত শর্মাদের সুবিধা দিতে নাকি বিসিসিআই পরিবর্তন করেছে উইকেট। এমনকি আইসিসির অনুমতিও নেননি তারা দাবি মেইল অনলাইনের।
সংবাদ মাধ্যম মেইল অনলাইন দাবি করেছে, “উপমহাদেশের উইকেটে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাই। তবে, আইসিসির নিয়ম স্পোর্টিং উইকেট করা। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে ভারতীয় স্পিনারদের সুবিধা দিতে আলাদা পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে। আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের সঙ্গে বিসিসিআই একটি সম্মতিতে পৌঁছেছিল যে-ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালের জন্য আজ অব্যবহৃত একটি পিচ দেওয়া হবে। কিন্তু সেই পিচের পরিবর্তে ইতোমধ্যে চলতি টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়া উইকেটকে বেছে নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা দলটির একটি ভারত হলে আবারও পাল্টানো হবে উইকেট, এমনটা বলছেন ব্রিটেনের খ্যাতিমান ক্রীড়া সংবাদকর্মী, লেখক ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথ।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড-ভারত ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল একটা ফ্রেশ উইকেটে। তবে তা সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ছয় নম্বরে। আর এই উইকেট ব্যবহারের বিষয়ে ভারতীয় বোর্ড ও আইসিসি হোয়াটস্যাপে মেসেজ আদান-প্রদানে এমনটাই কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি। যদিও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে-সেমিফাইনাল ম্যাচের উইকেট পাল্টানো নিয়ে আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনকে পরিষ্কার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের পাঠানো মেইলের কিছু অংশ প্রকাশ করেছে মেইল অনলাইন। সেখানে অ্যাটকিনসন সতর্কতার সুরে বলেছেন, “এসব কাজের কারণে অবশ্যই এটা ভাবার সুযোগ আছে যে এটাই কি প্রথম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে পিচ বিশেষভাবে পছন্দ ও প্রস্তুত করা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আয়োজক দেশের বোর্ডের উচ্চস্তরের অনুরোধে। কিংবা ব্যাপারটা কি এমন হবে যে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের কারও প্রতি সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন থেকে কোনো প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে উইকেট বাছাই ও প্রস্তুত করা হবে।’
সংবাদ মাধ্যমটি আরও দাবি তুলেছেন, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চার ম্যাচের ভিতর একটি ম্যাচেই শুধু নিয়ম মেনে উইকেটে খেলা হয়েছে বাকি ম্যাচ গুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে উইকেট। যার বিষয়ে আইসিসি অবগত ছিল না। আর এই বিষয়টি অ্যাটকিনসন মেইলে নাকি জানিয়েছিল তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও দাবি করেছে, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অ্যাটকিনসনকে আইসিসির সিনিয়র ইভেন্টস ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তান (১৪ অক্টোবর) ম্যাচটি পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৭ নম্বর উইকেটে খেলা হয়েছে। কিন্তু আসলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ৫ নম্বর উইকেটে।