এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বাঁচা-মরার ম্যাচে ওপেনিংয়ে মেহেদী মিরাজ ব্যাটিংয়ে নেমে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই অলরাউন্ডার ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ইনিংস তিন অঙ্কের নিয়ে যান। অন্যপ্রান্তে নাজমুল হোসাইন শান্ত এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও না করতে পারার আক্ষেপ মিটিয়েছেন এই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে।
এর আগে মিরাজ ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে লিটনের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন। সেবারের এশিয়া কাপের আসরটি বসে ছিল আরব আমিরাতে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম বারের মত ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ ৫৯ বলে ৩২ রান করে আউট হন। এরপর আবারও এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে এসে করেছেন সেঞ্চুরি।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে মিরাজ ক্যারিয়ারে প্রথম শতকের দেখা পান। বাংলাদেশ হারতে থাকা ম্যাচে এই অলরাউন্ডার ৮৩ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। যার কল্যাণে শেষ পর্যন্ত টাইগাররা ম্যাচটি জিতে নেয়।
মিরাজ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেতে খেলেছেন ১১৫ বল। শত রান করার পর এই অলরাউন্ডার মাঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৪৩তম ওভারে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে ছক্কা হাঁকানোর পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন মিরাজ। তিনি ফেরার আগে ১১৯ বলে করেন ১১২* রান। তার এই ইনিংস সাঁজানো ছিল ৭ চার ৩ ছক্কায়।
২০২৩ সালে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন শান্ত। তিনি ২৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪ টি হাফ সেঞ্চুরির ৪ টাই করেন এই বছর। আবার তার নামের পাশে যে দুইটি ওয়ানডে শতক রয়েছে সেই দুইটাও করেন ২০২৩ সালে। চলতি এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৯ রান করে আউট হয়ে যান এই ব্যাটার। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থেকে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নের পথে।
এবার প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ টা মেটালেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। তিনি শততম রান করতে খেলেন ১০১ বল। বাংলাদেশের এই ব্যাটার নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১০০ রানের পর ব্যক্তিগত ইনিংসে ৪ রান যোগ করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে ডাগ-আউটে ফিরে যান এই ব্যাটারকে। শান্ত প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান চলতি বছরের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
এদিকে এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচে মিরাজ ও শান্তর সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।