বাংলাদেশের ফুটবলের ‘পোস্টারবয়’ বলে পরিচিত কাজী সালাউদ্দিন। দেশের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার সালাউদ্দিন অবশ্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হিসেবে বিতর্কিত হয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই। বিশেষ করে তার দীর্ঘ সময় এই পদে থাকাকালে সত্যিকার অর্থে দেশের ফুটবল তো উন্নতি হয়নি, উল্টো অবনতি হয়েছে চরমভাবে। সেই সালাউদ্দিন বাফুফের সভাপতি হিসেবে শেষ সভার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাহী সভা। এই সভায় মূলত বাফুফের আসন্ন নির্বাচন নিয়েই আলোচনা হবে। নির্বাচনের আগে বাফুফের নির্বাহী সভা আর হওয়ার সম্ভাবনা সেই অর্থে নেই। ফলে বৃহস্পতিবার বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনের শেষ নির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাফুফে একটি জরুরি নির্বাহী সভা করেছে। সেই সভা হয়েছিল অনলাইনে। ৩ অক্টোবর বিকেলে আহ্বান করা সভাটি বাফুফে ভবনেই অনুষ্ঠিত হবে। সশরীরে কেউ আসতে না পারলে অনলাইনেও যুক্ত থাকার সুযোগ থাকছে।
২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নির্বাচনের ভেন্যু হিসেবে আগেই নির্বাচন করেছিল বাফুফে। বৃহস্পতিবারের সভায় মূলত নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। ২০০৮-২০২০ বাফুফের বিগত চার নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন। এবার সেই পদে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাই বেশি।
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবি ফুটবলের বিভিন্ন পক্ষের। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সেই কমিশন সভা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে। বিগত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্রের মূল্য নির্বাহী সভায় নির্ধারিত হয়েছিল। এবার সেটি নির্বাহী কমিটি না নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে সেটাই দেখার বিষয়।
আসন্ন নির্বাহী সভায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাউন্সিলরশীপ অনুমোদন। বাফুফের অধীভুক্ত ১৩৯ প্রতিষ্ঠানের কাছে কাউন্সিলরশীপ চিঠি দেয়া হয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো বাফুফেকে তাদের প্রতিনিধি মনোনয়ন দিয়েছে। ৩ অক্টোবরের সভায় সেই নামগুলো অনুমোদন হলে বাফুফে সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনকে হস্তান্তর করবে। নির্বাচন কমিশন সেটা খসড়া ভোটার হিসেবে প্রকাশ করবে। কোনো আপত্তি থাকলে সেটা নিষ্পত্তি করবে শুনানির মাধ্যমে।
নির্বাচন সংক্রান্ত ছাড়াও খেলার বিষয়াদি আলোচ্য সূচি হিসেবে আছে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপ। এই টুর্নামেন্টের বাজেট ও অন্যান্য বিষয় ৩ অক্টোবরের সভায় অনুমোদিত হবে।