ফুটবলের সঙ্গে যার আত্মার সম্পর্ক, ফুটবলই যাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও পরিচিতি এনে দিয়েছে, ফুটবল যাকে সাধারণ মানুষের অন্তরে ঠাঁই দিয়েছে, সেই কাজী সালাউদ্দিন তো দূরে সরে থাকতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে শারিরিক সমস্যা, বাইপাস সার্জারির পর প্রথমে চলে যান জার্মানীতে একমাত্র মেয়ে সারাজিনের কাছে। সেখান থেকে দেশে ফেরার পরদিনই সালাউদ্দিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ফুটবল ভবনে চলে আসেন।
বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন দীর্ঘ ৮৭ দিন পর ফেডারেশনে এসেছেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নামফলক উন্মোচনের দিনের পর বুধবার ফেডারেশনে আসলেন তিনি। গত ১৫ বছরে এতদিন বিরতি দিয়ে তিনি কখনও ফেডারেশনে আসেননি। এবার নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় ফেডারেশনে আসায় ছেদ পড়েছিল প্রায় তিন মাস।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা এক দশক আগেই ধরা পড়েছিল। চিকিৎসকের নির্দেশনা চললেও গত বছর ১৬ ডিসেম্বর ফেডারেশন থেকে ফেরার পথে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। এনজিওগ্রামে কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ায় বাইপাস সার্জারিও করা হয় সালাউদ্দিনের।
সফল বাইপাস সার্জারি শেষে তিনি বাসায় একমাস নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানি যান। জার্মানি থেকে ২৮ দিন পর মঙ্গলবার দেশে ফেরেন। একদিন পরই এলেন ফুটবল ভবনে।