গত তিন আসরের সেমিফাইনালে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ১, ৯ ও ১ রানের ইনিংস। এমন তিন ইনিংস খেলার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমিতে মাঠে নামার আগে প্রশ্ন উঠে ছিল কোহলি বড় মঞ্চের খেলোয়াড় না। তিনি সেই সব প্রশ্নের জবাব দিলেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি করে। যেই শতকে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যান কোহলি।
এই রেকর্ড গড়ার জন্য হয়ত বা এর থেকে বড় মঞ্চ হতে পারে না। বিরাটের স্বপ্নের ক্রিকেটার শচিন। সেই আইডলের রেকর্ড ভাঙলেন তারই সামনে। যে কিনা দর্শক গ্যালারিতে বসে নিজের রেকর্ড ভাঙা দেখছে। আবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের ঘরের মাঠ। আর লিটল মাস্টারের এই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মত বড় মঞ্চে নিজের ৫০তম সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। এতেই ছাড়িয়ে গিয়েছে শচীনের সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
মুম্বাইয়ে শতকের হাফ সেঞ্চুরির পর শচীনের দিকে তাকিয়ে কুর্নিশ করেছিলেন কোহলি। এদিন শেষ পর্যন্ত এই রান মেশিনকে থামতে হয়েছে ১১৭ রানে গিয়ে। কিউই পেসার টিম সাউদির বলে যখন কোহলি আউট হয়ে মাঠ ছাড়ছেন, তখন পুরো স্টেডিয়াম স্লোগান ধরেছে তার নামে। আর সেই স্রোতে হয়ত ছিলেন শচীন নিজেও। বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন শচীন।
পোস্টে শচীন লিখেছেন, “তোমাকে যখন আমি প্রথম ভারতের ড্রেসিংরুমে দেখেছিলাম, সেদিন অন্যান্য সতীর্থরা মজা করে তোমাকে আমার পা ছুঁতে বাধ্য করেছিল। আমি সেদিন হাসি থামাতে পারিনি। কিন্তু খুব দ্রুতই তুমি তোমার একাগ্রতা আর দক্ষতা দিয়ে আমার হৃদয় স্পর্শ করেছো। আমি খুবই খুশি যে সেদিনের তরুণ ছেলেটা আজ ‘বিরাট’ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে।”
এরপরেই শচীন লিখেছেন, “একজন ভারতীয় আমার রেকর্ড ভেঙেছে, এরচেয়ে অন্য কিছুতে আমি খুশি হতে পারতাম না। এবং সেটাও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সবচেয়ে বড় মঞ্চে। আর আমার ঘরের মাঠে (এমন কিছু) তাতে পূর্ণতা দিয়েছে।”
