সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিসে হ্যাটট্রিক করার। গত দু’বার এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন তিনি। এ বার হল না। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিসের কাছে হেরে হতাশ বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা। তার মতে, ট্রফি জেতাই আসল। ফাইনালিস্টকে কেউ মনে রাখে না।
ম্যাচ হারতেই কোর্টে আছড়ে ভেঙে ফেলেছিলেন র্যাকেট। বোঝা যাচ্ছিল, নিজের ওপর কতটা রেগে তিনি। তোয়ালেতে মুখ ঢেকে কাঁদতেও দেখা যায় তাকে। হয়তো ভাবতে পারেননি ১৯ নম্বর কিজ়ের কাছে হারবেন। সেই কারণেই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মাঝে কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান। ফিরে আসার পরে তাকে স্বাভাবিক দেখায়। যদিও দুঃখ যাচ্ছে না গত দু’বারের চ্যাম্পিয়নের। তার কাছে জেতাটাই আসল। নইলে ফাইনালে ওঠার কোনও অর্থ নেই।
সাবালেঙ্কা বলেন, ‘ট্রফি জিততে না পারলে ফাইনালে ওঠার কোনও মানে নেই। ফাইনালিস্টকে কেউ মনে রাখে না। কেউ চ্যাম্পিয়নের পাশে রানারের নাম বসায় না।’
প্রতিপক্ষ কিজ়ের প্রশংসা করেন সাবালেঙ্কা। কথা বলার সময় অনেক মজাও করেন। কী ভাবে নিজেকে বদলে ফেলেন তিনি? সাবালেঙ্কা জানিয়েছেন, নিজেকে সে ভাবেই তৈরি করেছেন তিনি। মনের হতাশা, দুঃখ বার করে ফেলেন তিনি। যাতে পরে কোনও সমস্যা না হয়। সাবালেঙ্কা বলেন, ‘ম্যাচ হেরে দুঃখ হয়েছিল। কিন্তু আমি মনে কিছু চেপে রাখি না। নেতিবাচক ভাবনা বার করে ফেলি। তাতে নিজেরই সুবিধা হয়। আমি কিজ়কে সম্মান করি। তাই ওর প্রশংসা করেছি।’
সাবালেঙ্কা কি নিজের দলের ওপর ক্ষুব্ধ? ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন, দলের কারও মুখ দেখতে চান না। সাবালেঙ্কা দলের সদস্যদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আমি দলকে আর কী বলব? সব দোষ তোমাদের। পরের সপ্তাহ পর্যন্ত তোমাদের মুখ দেখব না। তোমাদের ঘৃণা করি।’
অবশ্য তার পরেই তিনি জানান, যে মজা করে দলকে একথা বলেছেন। দলের প্রত্যেক সদস্যকে তিনি খুব ভালবাসেন। পরের বার এই দলের সঙ্গে মিলেই আবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার চেষ্টা করবেন তিনি।