ব্যাট হাতে নেদারল্যান্ডস বোলারদের নাস্তানাবুদ করেছে ভারতীয় ব্যাটাররা। যারাই ব্যাট হাতে নেমেছেন সবাই দেখা পেয়েছেন ফিফটির দেখা। যার ভিতর আবার শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল হাফসেঞ্চুরিটাকে রূপান্তর করেছেন সেঞ্চুরিতে। তাদের এই দুই সেঞ্চুরির সুবাদে নেদারল্যান্ডসকে ৪১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ভারত। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৪১০ রান। শ্রেয়াস আইয়ার ১২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। যতজন ব্যাটসম্যান ব্যাট করেছে সবাই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।
বেঙ্গালুরুর রানপ্রসবা উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ডাচ বোলারদের ওপর ব্যাট হাতে শাসন করতে থাকেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিংয়ে নামা রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল ব্যাটিং পাওয়ার-প্লেতে তুলে ফেলেন ৯১ রান। এর কিছুক্ষণ পরই এই জুটি ভাঙে গিলের বিদায়ে। দলীয় ১০০ রানের সময় ৫১ রান করা গিলকে ফেরান ফন মেকেরেন।
এরপর রোহিতের সঙ্গে জুটি গড়তে উইকেটে আসেন বিরাট কোহলি। তবে, তাদের জুটি ২৯ রানে পৌঁছাতেই ৬১ রান করা ভারতীয় অধিনায়ককে ফেরান বাস ডি লিডি। আউট হওয়ার আগে রোহিত অবশ্য ভাঙেন একটি রেকর্ড । এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার মালিক এখন তিনি।
এরপর বিরাটকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস আইয়ার। আগের দুই ব্যাটারের মতো এরা দুইজনও রাজত্ব করেন ডাচ বোলারদের ওপর। ৬৬ বলে গড়েন ৭১ রানের জুটি। এরপরই ফিরে যান বিরাট কোহলি। ৫৬ বলে ৫১ রান করা কোহলির উইকেট তুলে নেন ফন ডার মারওয়ে।
তবে এরপর ডাচ বোলারদের তুলোধুনো করে ছাড়েন আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২০৮ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু আইয়ারের মতো রাহুল অপরাজিত থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। ৬৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় করা সপ্তম সেঞ্চুরিতে ১০২ রানে থামেন তিনি। চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া আইয়ার অপরাজিত থাকেন ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৮ রান করে। ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতের উপরের সারির পাঁচ ব্যাটার পেলেন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের দেখা। ডাচ বোলারদের হয়ে ১০ ওভারে ৮২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন বাস ডি লিডি।