এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইরানের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই তার ভক্তরা উন্মাদনায় ফেঁটে পড়েন। কখনও দর্শকরা তাকে এক নজর দেখার জন্য তার বাসের পিছু পিছু দৌঁড় আবর পাহাড় বেয়ে তার হোটেলের সামনে ভীড় জমান। এমন পাগলাটে ভক্তদের সামনে রোনালদোর এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক হয়ে গেল। তার অভিষেক ম্যাচে পারর্সেপোলিসের বিপক্ষে ২-০ গোলের আল নাসর জয়ও পেলেও স্কোরশিটে নাম তুলতে পারেননি রোনালদো।
যদিও ইরানের পাগলাটে দর্শকদের মাঠে দেখার সুযোগ হয়নি এই পর্তুগিজ সুপারস্টারের কিংবা প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকায় পারর্সেপোলিস সমর্থকদের ছাড়াই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে ক্লাবটির সমর্থকদের এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। যা কার্যকর হয়েছে নাসরের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে রোনালদোরা প্রথমার্ধে ডেডলক ভাঙতে পারেননি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে পারর্সেপোলিস ১০ জনের দলে পরিণত হলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে সৌদি ক্লাব আল নাসর।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে পারর্সেপোলিসের বিপক্ষে মাঠে নামে নাসর। এদিন প্রথমার্ধে দুই দলই গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পর্তুগিজ তারকাকে মাথায় বুট দিয়ে পা মাড়িয়ে দিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পারর্সেপোলিস মিডফিল্ডার মিলাদ সারলাক। যার পুরো ফায়দা লুটে নেয় আল-নাসর। তেহরানের ক্লাবটিকে ১০ জনের দলে পেয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে রোনালদো, সাদিও মানেরা। সেই আক্রমণ থেকেই ম্যাচের ৬৩ মিনিটে পারর্সেপোলিস নিজেদের জালে বল জড়িয়ে এক গোল উপহার দেন নাসরকে।
এরপর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আল-নাসর। কোণাকুণি পজিশন থেকে নেওয়া শটে এই গোল করেন মোহাম্মদ কাশেম। যার মাধ্যমে জয় দিয়ে নাসর এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুভসূচনা করে।
ম্যাচ শেষে সৌদি ক্লাবটির ফরোয়ার্ড সাদিও মানে বলেন, “এটি খুব ভালো ম্যাচ ছিল, যদিও প্রথমার্ধে দুই দলের জন্যই কিছুটা কঠিন গেছে। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলই লড়েছে। আমরা দুটি সুযোগ তৈরির পর গোল পেয়েছি এবং নিশ্চিতভাবেই আমরা এই জয় ডিজার্ভ করি।”
জয়ের পর নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে রোনালদো লিখেছেন, “আজকের (মঙ্গলবার) জয়টা দারুণ। সমর্থকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ এবং ইরানের সব মানুষকে, যারা আমাদের আসাটা সার্থক করেছেন। সত্যিই হৃদয় উষ্ণ করে দেওয়ার মতো অভ্যর্থনা।”