যুব বিশ্বকাপজয়ী তানজিম হাসান সাকিবের জাতীয় দলের অভিষেকটা মনে রাখার মতো হয়েছে। অভিষিক্ত এই পেসারের হাতে ইনিংসের শুরুতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব। তানজিম অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে দেরি করেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারতে তুলে নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। অধিনায়ককে আউট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের খাতাই খুলেছেন তানজিম। যিনি আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। তাকে আউট করার পর তানজিম জানালেন এই উইকেটটা ছিল তার স্বপ্নের উইকেট।
এদিন ৭.৫ ওভার বল করে ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। সঙ্গে ভারতকে ৬ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ মিশন জয় দিয়ে শেষ করল। দলের জয়ে তানজিমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ভারতকে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন তানজিম। ফিরিয়েছেন অধিনায়ক রোহিতকে। এরপর যেভাবে ইনসুইং ডেলিভারিতে অভিষিক্ত তিলক বর্মাকে ফিরিয়েছেন, সেটা শুরুতেই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন।
তানজিমের কাছে রোহিতের উইকেটটা বিশেষ কিছু। কারণ, এটাই যে তার স্বপ্নের উইকেট। ম্যাচ শেষে তানজিম বলেন, “রোহিত ভাইয়ের উইকেটটা আমার স্বপ্নের উইকেট, প্রথম উইকেট। আমি শুধু সঠিক লাইন ও লেংথে বোলিং করতে চেয়েছি।”
শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেওয়াতে এই পেসারকে দিয়ে ৬ ওভারের লম্বা স্পেল শেষ করান অধিনায়ক সাকিব। তানজিম বলছেন দলের প্রয়োজনে এমন স্পেলের জন্য প্রস্তুত থাকেন তিনি। এই পেসার বলেন, “এমন কিছুর জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি। দলের যখন আমাকে প্রয়োজন হয়, তখন এমন লম্বা স্পেল করার জন্য প্রস্তুত থাকি। অনুশীলনও এভাবে নিজেকে প্রস্তুত করি।”
এদিন অভিষিক্ত এই পেসারের ওপরেই বেশি ভরসা রেখেছেন টাইগার অধিনায়ক। তাই তো ইনিংসের শুরু ও শেষ ওভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেছে নিয়েছেন তানজিমকে। এদিন ইনিংসের শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান হাতে ১ উইকেট। সেখানে প্রথম তিন বলই ডট দেন তানজিম। এরপর চতুর্থ বলে মোহাম্মদ সামি বাউন্ডারি মারেন। ওভারের প্রথম চার বলই স্লোয়ার করা তানজিম ওভারে পঞ্চম বল করেন ইয়র্কার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসারের ইয়র্কার দেওয়ার সামর্থ্য আছে, এই বিশ্বাস থেকেই ইয়র্কার করেছেন। তানজিম বলেন, “প্রথম ভেবেছিলাম স্লোয়ার করব, তবে পরে মনে হলো আঁটসাঁট ইয়র্কার করি। বিশ্বাস ছিল নিখুঁত ইয়র্কার করতে পারব, সেটাই হয়েছে।”