এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহকে দলে রাখা হয়নি। তবে বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন তিনি। যার কারণে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিশেষ ক্যাম্প করছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাথুরুসিংহে। তবে ক্যাম্পের প্রথম কয়েকদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি রিয়াদ। মায়ের অসুস্থতার জন্য তিনি গিয়েছিলেন ময়মনসিংহে। তবে বুধবার ক্যাম্পে ফিরেছেন রিয়াদ।
ক্রিকেটারদের অনুশীলন সম্পর্কে আজ বুধবার(২৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে কোচ সোহেল ইসলাম জানান, “ রিয়াদের আম্মু অসুস্থ ছিল তাই আজকেই যোগ দিয়েছে। যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে উপর থেকে যে আসলে কীভাবে প্র্যাকটিস করবে কার কীভাবে ভূমিকা থাকবে ওভাবে রিয়াদের সাথে কথা বলে প্র্যাকটিস সাজানো হচ্ছে। আমারতো মনে হচ্ছে ও ভালো শেইপে আছে। আর এই প্রস্তুতি ক্যাম্পটা তো লম্বা সময়ের। আশা করি আরও ৩-৪ টা সেশন করলে ছন্দে ফিরে আসবে।”
এশিয়া কাপ সামনে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিমূলত ক্যাম্প। এখান থেকেই নেওয়া হবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। যে কারণে এশিয়া কাপের স্কোয়াডের বাইরে থাকা আরও ৮ ক্রিকেটারকে যুক্ত করা হয়েছে এই ক্যাম্পে। এর কারণ, মূল স্কোয়াডের কারও কোনো সমস্যা হলে যেন অতিরিক্ত ক্রিকেটাররা সেই জায়গা পূরণ করতে পারেন।
কোচ সোহেল ইসলামআরও বলেন, “আপনারা জানেন যে মূল স্কোয়াড চলে যাচ্ছে। সম্ভাব্য যারা দলে মধ্যে ঢুকবে (ঢুকতে পারে) তাদের আলাদা করে যত্ন নেওয়া হচ্ছে, সেজন্যই এই ট্রেনিংটা। এখানে স্ট্যান্ডবাই যারা আছে তারাও আছে এবং (অন্য) কিছু খেলোয়াড় আছে সব মিলিয়েই একটা স্কোয়াড করা হয়েছে। এ অনুশীলনটা এভাবে সাজানো হয়েছে, যেন জাতীয় দলের যে ইনটেনসিটি থাকে, ভলিউম থাকে, সেভাবেই যেন অনুশীলন করে তারা তৈরি থাকে। ডাক পেলে যেন জাতীয় দলে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারে। ”
এদিকে ইনজুরিতে আক্রান্ত এবাদত হোসেনকে লাগলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে পাঠাবে বিসিবি এমনটাই জানান বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, “অক্টোবরে আইসিসি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ দলের জন্য পরবর্তী বড় টুর্নামেন্ট। তার আগে ইবাদতকে পূর্ণ ফিটনেস ও খেলায় ফেরাতে বিসিবি চিকিৎসার সব রকম নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারটিও এর আওতাভুক্ত।”