ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে এসে বিশ্বকাপের আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রামের নামে দল থেকে বাদ দেয় বিসিবি। এরপর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তার থাকা নিয়ে শঙ্কা জাগে। দেশসেরা ফিনিশারকে নিয়ে মানব বন্ধন ও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিসিবি তাকে রেখে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে। ভারতের মাটিতে বিশ্বমঞ্চে একাদশে সুযোগ পেয়ে সেই মাহমুদউল্লাহ ব্যাট হাতে তার জাত চেনাচ্ছেন, কেন তিনি দেশসেরা ফিনিশার। বিশ্বকাপে সবশেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। এরপর সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, বাদ পড়ার ইস্যুতে অনেক কিছু বলতে চান, কিন্তু এখন সেগুলো বলার উপযুক্ত সময় না।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৮২ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশ ২৩৩ রান তুলে গুটিয়ে যায়। এতেই টাইগাররা ১৪৯ রানে হেরে যায় প্রোটিয়াদের কাছে। এদিন মাহমুদউল্লাহ ১১১ রানের ইনিংস না খেললে বাংলাদেশের হারের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারতো। এই ব্যাটারকে বিশ্রামের নামে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপের আগে টাইগাররা কয়েকটি সিরিজও খেলে। তাই সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ উপস্থিত হলে তার বাদ পড়া নিয়ে কথা ওঠবে এটাই স্বাভাবিক।
দল থেকে বাইরে থাকার সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, সংবাদ সম্মেলনে তাকে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল। দেশসেরা ফিনিশার জানান, সময়টা ভালোই কেটেছিল তার। সেটা নিয়ে অনেক কিছু বলারও ইচ্ছে। কিন্তু এখন সেটাকে উপযুক্ত সময় মনে করছেন না। মাহমুদউল্লাহ বলেন, “এই ইস্যুতে (বাদ পড়া) কিছু বলব না। যদিও অনেক কিছু বলতে চাই। কিন্তু এখন সেগুলো বলার ঠিক সময় না।”
মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছেন, কিন্তু বাংলাদেশ হেরেছে। সেঞ্চুরির জন্য ভালো লাগলেও দিনটা খুব একটা সুখকর নয় তার জন্য। মাহমুদউল্লাহ বলেন, “হ্যাঁ, সেঞ্চুরি করেছি। তবে দল জিততে পারলে আরও ভালো লাগবে।”
এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, “ক্যারিয়ার জুড়ে আমি অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এটা ভালো। আল্লাহ হয়ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে শক্তি দিয়েছিলেন। চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে, কষ্ট করেছি। এর বাইরে তো আমার করার কিছু ছিল না।”