নিউজিল্যান্ড সিরিজে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যাওয়া আশার মিছিলে নেমেছেন। সেই মিছিলে বিপরিত দিকে অবস্থান নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। একাই লড়ে গিয়েছেন তবে ৭৬ রান করে কোল ক্যাকিকনচের বলে এলবিডব্লু হয়ে ডাগআউটে ফেরেন। এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪ ওভার ৯ উইকেটে ১৭১ রান। খালেদ আহম্মেদ ০* ও শরিফুল ইসলাম ১* রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের ১৬তম অধিনায়ক হিসেবে নামা শান্ত টস জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের অনুপুস্থিতিতে বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা করেন অভিষিক্ত জাকির হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। ওপেনিংয়ে পরিবর্তন ঘটলেও বাংলাদেশের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। দলীয় ৬ রানের সময় বিদায় নেন অভিষিক্ত জাকির। অ্যাডাম মিলনের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১ রান।
এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ জুনিয়র তামিম। ট্রেন্ট বোল্ট যখন তার উইকেট তুলে নেন দলীয় রান তখন ৮। আর বিদায়ের আগে তামিম করেন ৫ রান। উইকেটে এসে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা তাওহীদ হৃদয় অ্যাডাম মিলনেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইয়াংকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৭ বলে ১৮ রান করে।
এরপর অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এই জুটি করে ফেলেন অর্ধশতক। তাদের পার্টনারশিপে যখন মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে টাইগররা তখনি বিদায় মুশফিকের। লকি ফার্গুসনের বাড়তি বাউন্সের বল ইনসাইড-এজের পর যাচ্ছিল স্টাম্প বরাবর। ঘুরে পা চালিয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু বলটিকে সরাতে পারেননি। সেটি ভেঙেছে স্টাম্পের চূড়া। অসহায় মুশফিক দেখেছেন তার বোল্ড হওয়া। ২৫ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন মুশি, নাজমুলের সঙ্গে তার জুটি থেমেছে ৫৩ রানে।
যেখানে রেখে ইনজুরির কারণে দেশে ফিরেছিলেন শান্ত সেখান থেকেই শুরু করলেন তিনি। খেলে যাচ্ছেন ক্যাপ্টন্স নক ইনিংস। তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। তার সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ফাঁকে তুলে নিলেন ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান। পঞ্চম উইকেটে মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে। আবারও অধিনায়কে রেখে ২১ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহও ফিরে যান। এরপর মেহেদী হাসান ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হয়েছেন। কাট করতে গিয়ে ইনসাইড-এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পরেন। এই ব্যাটার থেমেছেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। এরপর সপ্তম উইকেটে মাঠে নামেন নাসুম আহম্মেদ। এই উইকেটে নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ২১ রান যোগ করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন শান্ত। একাই লড়াই করে অধিনায়ক থেমেছেন ৮৪ বলে ১০ চারে ৭৬ রান করে। শান্তর বিদায়ের পর মাঠে নামেন পেসার হাসান মাহমুদ। এই পেসার ১ রান করে ফিরে যান। এরপর মাঠে নামেন শরিফুল।