রিয়ালের হয়ে দরুণ শুরু করেছেন জুড বেলিংহাম। স্প্যানিশ লিগে প্রথম ম্যাচে এক গোল করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। তার জোড়া গোলের সুবাদে আলমেরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে গ্যালাকটিকোসরা। রিয়ালের হয়ে অপর গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
আলমেরিয়ার মাঠে আথিতীয়তা নেয় রিয়াল। ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় গ্যালাকটিকোসরা। নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার আগেই গোল খেয়ে বসে কার্লো আনচেলত্তির দল। ম্যাচের বয়স তিন মিনিট হতেই গোল করেন আলমেরিয়ার সার্জিও অ্যারিবাস। নিশ্চুপ হয়ে পড়ে মাঠে উপস্থিত রিয়াল সমর্থকরা।
গোল শোধে মরিয়া রিয়াল ম্যাচে ফিরে ১৯ মিনিটে। দলটির নতুন সাইনিং জুড বেলিংহাম সমতায় ফেরায় সফরকারীদের।
২৭তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত রিয়াল। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর আড়াআড়ি শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
৩৪তম মিনিটে ইদ্রিসু বাবার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। চার মিনিট পর রবের্তোনির দূরপাল্লার শট কোনোমতে ফিরিয়ে দেন তিনি। একটু পরে ব্যর্থ করে দেন লার্জি লামাজানির হেড।
৪১তম মিনিটে রবের্তোনির শট দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন লুনিন। আলগা বলে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। তিন মিনিট পর রদ্রিগোর শট ঠেকিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে যেতে দেননি আলমেরিয়ার গোলরক্ষক।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দারুণ উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে ৬০তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ক্রুসের চমৎকার ফ্রি কিকে ছুটে গিয়ে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন বেলিংহ্যাম।
৭১তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল আলমেরিয়া। আদ্রি এমবার্বার ক্রসে একটুর জন্য হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস।
দুই মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ায় রেয়াল। বেলিংহ্যামের কাছ থেকে ডি বক্সের মাথায় বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ভিনিসিউস জুনিয়র। নতুন মৌসুমে এটাই তার প্রথম গোল।
পুরো ম্যাচটাই ছিল আক্রমণে ঠাসা। দু`দল মিলে গোলের উদ্দেশ্যে টোটাল শট নিয়েছে ৪৫টি। যেখানে রিয়ালের ২৫টি আর আলমেরিয়ার ২০টি। অন টার্গেটে রিয়ালের ৯টির বিপরীতে স্বাগতিকদের ছিলো ৮টি শট। বল দখলের লড়াইয়েও রিয়ালের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে ছিল না আলমেরিয়া। রিয়ালের পায়ে ৫৭ শতাংশ বল ছিল আর আলমেরিয়ার পায়ে ৪৩ শতাংশ। দারুণ খেলেও স্বাগতিকদের সঙ্গী হারের তিক্ততা।