শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল আসরের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। সেটা হলো লিগ পর্বের খেলা। অংশ নেওয়া ৩৬ দলের প্রত্যেকেই মাঠে নেমেছিল লিগ পর্বের শেষ ম্যাচডেতে। আর এক রাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা গেল ৬৪ গোল। ১৯৫৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এর আগে কখনোই এক দিনে এত বেশি গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। রেকর্ড গড়া এই রাতে শেষ ষোলো আর প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সবমিলিয়ে ৭ দল।
আগেই জানা গিয়েছিল অন্তত ১৭ দল লিগ পর্ব পার করছে। লিভারপুল এবং বার্সেলোনা শীর্ষ দুইয়ে থাকছে তাও নিশ্চিত ছিল আগেই। লিভারপুল অবশ্য বুধবার রাতে হেরে গিয়েছে পিএসভি আইন্দোভেনের কাছে। আর ইতালিয়ান প্রতিপক্ষ আতালান্টার সঙ্গে বার্সা ড্র করেছে ২-২ গোলে।
এতেই নিশ্চিত হয়েছে ফাইনালের আগে বার্সেলোনা ও লিভারপুলের দেখা হচ্ছে না। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ শুরুর আগে নাটকীয়তা দেখা যাবে প্লে-অফের লড়াইয়েও। যেখানে এরইমাঝে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি আর রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ-১৬’র আগেই দেখা হয়ে যেতে পারে এই দুই দলের।
কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই প্লে-অফ জটিলতা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। কে কার মুখোমুখি হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় আছে ফুটবলের দুনিয়ায়। বোঝার সুবিধার্থে থাকছে এর পুরো বিশ্লেষণ
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৯ থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো নকআউট প্লে-অফ খেলবে। প্রতিটি দলকে তাদের টেবিল পজিশন অনুযায়ী জোড়া বানানো হবে এবং তারা আলাদা ব্র্যাকেটে থাকবে, যাতে ফাইনালের আগে একে অপরের মুখোমুখি না হতে পারে। এই ড্রয়ের পদ্ধতিটা আপাতদৃষ্টিতে খানিক কঠিন মনে হতেই পারে।
রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ আর ম্যানচেস্টার সিটি থেকেই বোঝানো যাক। প্রথম দিকে দলগুলোকে জোড়া করা হবে তাদের লিগ টেবিলে অবস্থানের ভিত্তিতে। যেমন ৯ম ও ১০ম স্থানে থাকা দুই দল একই জোড়ায় থাকবে। আবার ১১ ও ১২তম স্থানের দল থাকবে আরেকজোড়ায়। লিগ টেবিলের অবস্থান ভিত্তিতে বায়ার্ন মিউনিখ এবং রিয়াল মাদ্রিদ থাকবে একই ব্র্যাকেটে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের নিয়নে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র। প্লে-অফের ম্যাচ হবে দুই ম্যাচডেতে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ এবং ১২ তারিখে হবে প্লে-অফের প্রথম লেগ আর ১৮ ও ১৯ তারিখে হবে দ্বিতীয় লেগ।