আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন দেশটির টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ও স্পিন অলরাউন্ডার রশিদ খান এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মোহাম্মাদ নবী। আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুই তারকা তারা।
তালেবানরা ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই আফগান নারীদের রুদ্ধ করে রাখার নানা পদক্ষেপ এসেছে। নারীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে আগেই। নানা ক্ষেত্রেও নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত করা হয়েছে। খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ পুরো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেবল মেডিকেল বিভাগেই কিছুটা ছাড় দিয়ে নারী শিক্ষার কিছু কার্যক্রম চালু ছিল। সেখানেও এবার একটি দুয়ার বন্ধ করা হয়েছে। তারা নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইভস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বন্ধ করেছে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মোহাম্মাদ নবী ক্ষোভ ঝাড়লেন ‘এক্স’ পাতায়, ‘নারীদের চিকিৎসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করার তালেবানদের সিদ্ধান্ত শুধু হৃদয় ভাঙার মতোই নয়, বরং প্রবল অন্যায়ও। ইসলামে সবসময়ই সবার জন্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং মুসলিম নারীদের প্রেরণাদায়ী উদাহরণ দিয়ে ইতিহাসও অনেক সমৃদ্ধ, প্রজন্মের পর প্রজন্মে নিজেদের জ্ঞানের আলোয় যারা অবদান রেখেছেন।’
তিনি লিখেছেন, ‘আমি তালেবানদের প্রতি অনুরোধ জানাব এই ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করতে। নারীদের শেখার সুযোগ না দেওয়া ও দেশকে সেবা করার সুযোগ না দেওয়া মানে তাদের স্বপ্ন ও জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রতারণা করা। আমাদের মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিন, সমৃদ্ধ হতে দিন এবং সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ আফগানিস্তান গড়ে তুলুন।’
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রশিদ লিখেছেন, ‘প্রতিটি মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য শিক্ষা অর্জনের বিষয়টি ইসলাম জোর দিয়েছে। উভয় লিঙ্গের মানুষই যেন সমতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও শিক্ষা অর্জন করতে পারে সেই নির্দেশ রয়েছে কুরআনে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি খুবই দুঃখের এবং হতাশার বিষয় যে, আফগানিস্তানের মা-বোনদের শিক্ষাগত এবং মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল তাদের ভবিষ্যতের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, বরং আমাদের সামাজিক গাঁথুনিতেও নেতিবাচক ফল নিয়ে আসবে।’
এছাড়াও কুরআন ও হাদিসের আলোকে নারী শিক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করেন আফগানিস্তানের আরেক ক্রিকেটার রাহমানউল্লাহ গুরবাজও।