ঢাকা ক্যাপিটালসের বড় স্কোরের জবাবে ব্যাটে নেমে দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর দুর্বার রাজশাহীর হাল ধরেন এনামুল হক বিজয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রায়ান বার্ল। দুজনের অপরাজিত ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে দুর্বার রাজশাহী। তাতে চলমান বিপিএলে দুই ম্যাচ খেলেও জয়হীন থাকলো ঢাকা ক্যাপিটালস।
মিরপুরে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৯ রান করে রাজশাহী।
১৭৫ রানের টার্গেটে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। এই পাকিস্তানি ওপেনার ১২ রান করেছেন। আরেক ওপেনার জিশান রানের খাতা খুলতে পারেননি।
৩১ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন বিজয়। ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক। তবে ২২ রান করে রাব্বি ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর বার্লকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা দারুণভাবে সেরেছেন বিজয়।
বার্ল ৩৩ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৩ রান এসেছে বিজয়ের ব্যাট থেকে।
এর আগে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার।শুন্য রান আউট হন লিটন কুমার দাস। আরেক ওপেনার তানজিদ ৯ রান করে আউট হন।
এরপর স্টিফেন এসকিনাজি ও শাহাদাত হোসেন দিপু দেখেশুনে খেলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন। তবে ২৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এসকিনাজি। দিপু ৪১ বলে ৫০ রান করেন তরুণ।
রাজশাহীর হয়ে রেকর্ডগড়া স্পেলে ৭ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তাসকিন বদলালেন ইতিহাস। সঙ্গে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীও এখন তাসকিন। যদিও এই রেকর্ডে তিনি শীর্ষে আছেন যৌথভাবে। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রুস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট।