দারুণ অলৌকিক এক ঘটনা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আইসিসির কোনো প্রতিযোগিতায় এমনটা প্রথমবারের মতো ঘটল। একটি বল তো দূরের কথা টসই হয়নি। বৃষ্টিও হয়নি। তবুও ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে একটি পক্ষ। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্য। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ‘বি’ গ্রুপের এক ম্যাচে।
কেনিয়ায় চলছে বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচ। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল রুয়ান্ডা ও গাম্বিয়ার। রুয়ান্ডার পুরো দল মাঠে থাকলেও অনুপস্থিত ছিল গাম্বিয়া ক্রিকেট দল। যার ফলে ওয়াকওভার পায় রুয়ান্ডা।
গাম্বিয়া কেন রুয়ান্ডাকে ওয়াকওভার দিয়েছে সে কারণটি খোলাসা করেনি আইসিসি। তবে জিম্বাবুইয়ান সাংবাদিক অ্যাডাম থিও টুইটারে লিখেন, কাগজপত্রের জটিলতার কারণে দলের বেশিরভাগ সদস্য ভেন্যুতে পৌঁছাতে পারেননি। যে কারণে ম্যাচে ওয়াকওভার দিয়েছে গাম্বিয়া।
কাগজপত্রের বিষয়টি কী টুইটারে সেটাও খুব একটা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। টুইটারে করা সেই পোস্টে অনেকেই বলছেন ভিসা জটিলতার কারণে ফ্লাইট মিস করেছেন বেশিরভাগ ক্রিকেটার।
শুক্রবার আসরে অংশগ্রহণকারী ৬ দলের অধিনায়ককে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ফটোশুট। যেখানে স্বাগতিক কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, সিশেলস, রুয়ান্ডা, মোজাম্বিকসহ উপস্থিত ছিলেন গাম্বিয়ার অধিনায়ক আন্দ্রে জার্জুও। শনিবার ঘটলো অভিনব ঘটনা।
দলের বেশিরভাগ সদস্য ভেন্যুতে না পৌঁছালেও ম্যাচটি খেলার সুযোগ ছিল গাম্বিয়ার। কেননা আইসিসির আইনের ১.১ ধারায় বলা হয়েছে, সমঝোতার ভিত্তিতে একটি ম্যাচ ১১ জনের কম বা বেশি খেলোয়াড় নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে মাঠে সর্বাধিক ১১ জন খেলোয়াড়ই ফিল্ডিং করতে পারবেন। যদি ম্যাচ চলাকালীন কোনো দলের খেলোয়াড় সংখ্যা কম থাকে, তাহলে টসের আগে করা শর্তের ভিত্তিতে ও আইন অনুযায়ী ম্যাচটি যতক্ষণ সম্ভব চলতে থাকবে।
ধারণা করা হচ্ছে আইসিসির এই আইন সম্পর্কে হয়ত অবগত ছিল না গাম্বিয়া। যার ফলে টসের আগেই রুয়ান্ডাকে ওয়াকওভার দিয়ে দেয় তারা। পরের ম্যাচে রোববার তাদের প্রতিপক্ষ সিশেলস।
পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয়বারের মতো ওয়াকওভারের ঘটনা ঘটল। এর মধ্যে দুবারই সুবিধাভোগী রুয়ান্ডা। এর আগে ২০২২ সালে গানার বিপক্ষে ম্যাচে ওয়াকওভার পায় তারা।