জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেন তিনি। গত বছর ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন। আইপিএলেও খেলেন। সেই রাচিন রবীন্দ্র এখন আরও পরিণত। সদ্য ভারতের মাটিতে ইতিহাস তৈরি করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমবার ভারতকে ভারতের মাটিতে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন রাচিন। সিরিজ শেষে বাবার কাছ থেকে কী বার্তা পেয়েছেন তিনি?
সিরিজ জেতার পর পুত্রকে চারটি শব্দ বলেছেন তার বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি। রাচিন বলেন,‘‘বাবা বলল, ‘তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত’। বাবার মুখ থেকে এই কথা জীবনে খুব বেশি বার শুনিনি। তাই বাবার এই প্রশংসা পাওয়া মানে সত্যিই আমি কিছু একটা করেছি।’’
নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জেতার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছেন রাচিন। তিনটি টেস্টে ৫১.২০ গড়ে ২৫৬ রান করেছেন তিনি, যা দুই দল মিলিয়ে সর্বাধিক। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রান রয়েছে। ভারতের মাটিতে খেলতে যে তিনি ভালবাসেন তা রাচিনের এই দেশে পারফরম্যান্স থেকেই পরিষ্কার।
রাচিনের নামকরণ করেছেন তার বাবা ভারতের দুই সাবেক ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড়ের নাম মিলিয়ে। রাহুলের ‘রা’ ও শচিনের ‘চিন’ মিলিয়ে রাচিন। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে এক ভারতীয় পরিবারে জন্ম রাচিনের। তার বাবা রবি পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মা দীপা গৃহকর্ত্রী। ১৯৯০-এর দশকে বেঙ্গালুরু থেকে ওয়েলিংটনে চলে আসেন রবি। সেখানে তিনি হাট হকস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।
বেঙ্গালুরুতে থাকায় সময়েই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল রবির। অল্পবিস্তর খেলাধুলোও করেছেন। ছেলেকেও ক্রিকেটার করার ইচ্ছা ছিল। পরিবারের সমর্থনে নিজেকে ক্রমশ ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলতে থাকেন রাচিন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দু’বার (২০১৬ ও ২০১৯) অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে তিনটি ফরম্যাটেই নিজের জায়গা পাকা করেছেন তিনি। বাঁহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন বলটাও ভাল করেন। আইপিএলে গত বার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন তিনি। এবারও নিলামে দেখা যাবে তাঁ=কে।