বিশ্বকাপের আগেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তারপরও কিউই অধিনায়ককে রাখা হয়েছিল দলে। তবে প্রথম দিকে খেলতে না পারায় তার জায়গায় এসে রাচিন রবীন্দ্র দারুণভাবে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। রাচিনকে বিশ্বকাপে নামানো হয় ওয়ান ডাউনে। আর তাতেই বাজিমাত করেন তরুণ এই ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে ৩টি শতক আর ২টি অর্ধশতক করেন কিউই এই অলরাউন্ডার। টুর্নামেন্টে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। তাই বলাই যায় রাচিনের এবারের বিশ্বকাপ সফরটা ছিল স্বপ্নের মতো।
বিশ্বকাপের পর আবারও মাঠে নামছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। তবে, সাদা বলে নয় নিউজিল্যান্ড নামছে লাল বলের লড়াইয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বর্তমানে সিলেটে আছেন তারা। আর এই সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে দু’দলের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র। লম্বা সময় ধরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার পর হুট করেই টেস্ট ক্রিকেটে অভ্যস্ত হওয়া চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে এসে এমন মন্তব্য করেছেন রাচিন রবীন্দ্র। এক ভিডিও বার্তায় রাচিন বলেন, “সব কিছুই দ্রুত ঘটে যাচ্ছে। আমি সৌভাগ্যবান যে এই দলে আছি। এখন আমার লাল বলে অভ্যস্ত হওয়ার সময়। তার মানে আমাকে খুব দ্রুত অভ্যস্ত হতে হবে। দীর্ঘদিন বিশ্বকাপ খেলার পর টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। তার সঙ্গে কন্ডিশনের বিষয়টাও ভাবতে হচ্ছে।”
তবে এই ফরম্যাটে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন রাচিন। কিউই এই অলরাউন্ডার বলেন, “নিশ্চিতভাবেই আমি আনন্দিত। টেস্ট ক্রিকেটে সবকিছুর উপরে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার প্রতিটি সুযোগ, বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে খুব বিশেষ কিছু। কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেট খেলা নিয়ে আনন্দিত। এটা নিয়েও রোমাঞ্চিত কীভাবে আমার খেলাটা এই কয় বছরে বিবর্তিত হয়েছে।”
টেস্ট ফরম্যাটের প্রসঙ্গেও আলাদা করে কথা বলতে গিয়ে রাচিন বলেন, “টেস্টে ঘড়িতে তাকানোর দরকার নেই, খুব বেশি ঝুঁকি না নিয়েই নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলা যায়। তবে কন্ডিশন ও উইকেট বুঝে খেলতে হয়। আমার মনে হয় কখনো কখনো আমরা এটাই বুঝতে পারি না টেস্টটা কত লম্বা। আপনার হাতে পাঁচদিন ৯০ ওভার করে আছে। তাই এখানে সময়ও আছে অনেক। আশা করি সাদা বলের শান্ত ভাবটা আমাদের লাল বলের খেলায়ও নিয়ে আসতে পারবো।”
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই দলের সদস্য রাচিনের খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই লাল সবুজে। তবে উইকেট সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে এই বাঁহাতির।
এ কিউই অলরাউন্ডার বলেন, “আমার কাছে যতটুকু মনে হচ্ছে উইকেট ২০২১ এর মতো হবে না। ঢাকার উইকেট আমার কাছে ইন্টারেস্টিং। এখানে বল করাটা সহজ, কিন্তু ব্যাটিং সত্যিই ভোগাবে। তাছাড়া আমাদের দলে পাঁচজন স্পিনার আছে। সোধি, প্যাটেল, স্যান্টনার ওরা সবাই আমার চেয়ে অভিজ্ঞ। দলের মধ্যে প্রতিযোগিতাটা দারুণ।”