বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস বোলার কাগিসো রাবাদা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ফাস্ট বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকা যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি বড় বিপর্যয় ঘটাবে, সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রাবাদা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেস বোলার বলেছেন যে, প্রোটিয়ারা জানে কীভাবে লর্ডসে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সোমবার কেপটাউনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজটি শেষ করেছে। সেঞ্চুরিয়ানে শান মাসুদের দলের বিরুদ্ধে ক্লিন সুইপ করে প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছেন রাবাদা। নিজেদের প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পরই ঐ মন্তব্য করেছেন রাবাদা।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার রাবাদা। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা সত্যিই অনেক দূরের পথ, কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মতো একটি বড় প্রতিযোগিতায় খেলা বড় বিষয়। এটা আপনার প্রস্তুতিকে তুলে ধরে।’
কাগিসো রাবাদার মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই একটা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিয়ে থাকে। প্রোটিয়া পেস বোলার বলেন দুই দলের খেলার ধরন একই রকমের। রাবাদা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই কঠোর পরিশ্রম করে এবং ওরা প্রতিপক্ষের উপর তীব্র আঘাত করে, সেটা তারা ভালো করেই জানে। এই সময়ে রাবাদা বলেন, ‘আমরা জানি ওদের কী করে হারাতে হয়।’
রাবাদা সম্প্রতি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট হল আমাদের সবচেয়ে ভালো ফরম্যাট, যা আমরা বর্তমানে খেলছি। যখন আপনি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ও আমাদের সমস্ত কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের দেখেন, তারা সকলেই দুর্দান্ত টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই সিরিজ জয় তারই একটি দুর্দান্ত বিজ্ঞাপন ছিল।’ রাবাদার এই মন্তব্যগুলি টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের ঐতিহ্যের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে।
এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও টেস্ট ম্যাচ নেই। সেই কারণে প্রোটিয়া কোচ শুকরি কনরাড তাদের সম্ভাব্য প্রস্তুতির রূপরেখা প্রস্তুত করেছেন। কনরাড বলেছেন, ‘আমরা আয়ারল্যান্ড বা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে (যারা খালি থাকবে) টেস্ট ম্যাচ খেলব। সম্ভবত ইউকেতে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। এবং যদি সেটা সফল না হয়, তবে আমরা অবশ্যই কিছু দিন আগে বেরিয়ে যাব এবং নিশ্চিত করব যে আমরা সেখানে সত্যিই ভালোভাবে ক্যাম্প করতে পারি।’