এবারের এশিয়ান কাপ ফুটবলে যে অল- আরব ফাইনাল হচ্ছে, তা জর্ডানের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার অঘটনের বিদায়ের পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ফাইনালে জর্ডানের প্রতিপক্ষ হওয়ার সুযোগ ছিল ইরান ও কাতারের সামনে। সেমিফাইনালে পাঁচ গোল আর লালকার্ডের রোমাঞ্চকর লড়াই ছাপিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতার। শনিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে হবে প্রেস্টিজিয়াস ফাইনাল।
উত্তাপ ছড়া ম্যাচে শেষ সময়ের গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় কাতার। এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মের পর এবার সেই একইমাঠে কাতার লিখলো দাপুটে ফুটবলের আরেক উপাখ্যান।
টানা দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলার মিশনে ম্যাচের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি কাতারের। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই সরদার আজমুনের গোলে এগিয়ে যায় ইরান। দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে দলকে লিড এনে দেন তিনি।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে জাসেম গাবেরের শট ইরানের সাঈদ এজাতোলাহির গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করলে সমতায় ফেরে কাতার। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে টুর্নামেন্টে নিজের পঞ্চম গোল করে কাতারকে এগিয়ে নেন আকরাম আফিফ।
বিরতি থেকে ফিরে সমতা আনতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইরান। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আলীরেজা জাহানবখশের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে সমতায় ফেরে তারা। ৮২ মিনিটে এরপর জয়সূচক গোলটি করেন আল-মুইজ। কাতারের গত আসরের শিরোপা স্বপ্নের কান্ডারি ছিলেন আল-মুইজ। এবারও তিনিই দলকে টেনে নিলেন ফাইনালে।
যোগ করা সময়ে শোজায়ি খলিলজাদেহ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ম্যাচে ফেরা আরও কঠিন হয়ে পড়ে ইরানের। যদিও অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া ১৭ মিনিটও সমানতালেই লড়েছিল তারা। শেষ মিনিটে অবশ্য দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ইরান, তবে জাহানবখশের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। তাতেই ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলে কাতার।