• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সহ-অধিনায়ক হয়ে গর্বিত শান্ত, তবে ম্যাচ হারায় হতাশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ১১:০০ এএম
সহ-অধিনায়ক হয়ে গর্বিত শান্ত, তবে ম্যাচ হারায় হতাশ
বাংলাদেশ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপে চোট পাওয়ার পর দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দলে ফিরলেন বাংলাদেশের ১৬তম অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্ত। দলে ফিরেই গড়লেন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তবে শান্ত অধিনায়কের অভিষেক ম্যাচে দলকে জেতাতে পারেননি। তাই তিনি একটু হয়েছেন হতাশ। কিন্তু ম্যাচ শেষে শান্ত পেলেন খুশির খবর। তিনি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক হিসেবে ভারতের মাটিতে পা রাখবেন। এমন খবর পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান টাইগারদের সহ-অধিনায়ক হতে পেরে গর্বিত তিনি।

বছরখানেক আগেও তাকে শিকার হতে হয়েছে নানা রকম ট্রলের। এখন দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার তো বটেই, দলের অটোচয়েজও এই বাঁ হাতি ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেও বাকি সব ব্যাটারের ব্যর্থতার দিনে ৮৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শেষ তিন ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার।

এমন দারুণ ধারাবাহিকতার মধ্যে সহ-অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে শান্ত বলেন, “এটা অনেক গর্বের ব্যাপার। এমনকি আমার পরিবারের সদস্যরাও (গর্বিত) কালকেও এই কথা বলেছি। অবশ্যই অনেক গর্বের ব্যাপার উপভোগ করবো পুরো পরিস্থিতিটা। যদি বলি ওই মুহূর্তগুলো।”

অধিনায়কত্বে অভিষেকের দিনে ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন কিউই বোলারদের উপর। তবে শান্ত ৭৬ রান করলেও দল অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১৭১ রানে। ম্যাচও হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। অধিায়কত্ব করতে নেমে দলকে জেতাতে পারেননি। তাই দিনটি শান্তর কাছে রোমাঞ্চকর থাকলেও হতাশ হয়েছেন দলের হারে।

টাইগার এই ক্রিকেটার বলেন, “ফলাফলের দিক থেকে আনন্দ পাইনি। কিন্তু আগের দিন থেকেই অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। মাঠেও উপভোগ করেছি ব্যাটিং। এমনকি শুরুর দিকে বোলাররা ভালো বল করছিল, সেটাও উপভোগ করেছি। ফল ভালো হয়নি, আশা করি সামনে সুযোগ আসলে আস্তে আস্তে ফল আসা শুরু করবে।”

বিশ্বকাপের ঠিক আগের নিউজিল্যান্ড সিরিজটি একদম ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর পরের দুটিতেই স্বাগতিকরা হেরেছে বড় ব্যবধানে। তাতে ১৫ বছর পর দেশের মাটিতে কিউেইদের বিপক্ষে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। হারের ব্যবধান বড় থাকা নিয়ে অবশ্য বাড়তি হতাশা নেই শান্তর।  

বাংলাদেশের ১৬তম অধিনায়ক বলেন, “আমরাও সেরা দল খেলিনি প্রথম কথা। আর হারা তো হারাই, এক রানে হারও হারা, একশ রানে হারও হার। ম্যাচ হেরেছি এটা হতাশার। এখান থেকে আমরা কী শিখলাম এই অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি বিশ্বকাপে যেতে পারি তাহলে এটা কাজে দেবে। এখানে এরকম কিছু নাই যে আমরা অনেক রানে হেরেছি অনেক কিছু হয়ে গেছে। মেটার করে না। হারা তো হারাই।”

Link copied!