পাঁচ দিন পর আবারও হেড-ঝড়। এবার ইংল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে পাওয়ারপ্লের বিশ্বরেকর্ড নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিলেন ট্রাভিস হেড। মিচেল মার্শের সঙ্গে টানা ১২ বলে বাউন্ডারি মারার রেকর্ডও গড়েছিলেন হেড। স্কটিশদের হোয়াইটওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া এখন ইংল্যান্ডে। এবং জয় দিয়েই শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ড-পর্ব।
সাউদাম্পটনে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেডের ২৩ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ১৭৯ রান। জবাবে ১৯.২ ওভারে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় ফিল সল্টের ইংল্যান্ড, হেরেছে ২৮ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে এই জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে ১১৩ রান নিয়েই অবশ্য থেমে গিয়েছিলেন হেড। তাতে ১২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৫ বলে ৮০ রান তোলা হয়ে গিয়েছিল। পরের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের পর তৃতীয় ম্যাচে ১২ রান।
ঝড় যে তিনি ইংল্যান্ডের জন্য জমিয়ে রেখেছিলেন, তা কে জানত? স্কটিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই ব্যর্থ জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে সরিয়ে নামানো হয় ম্যাথু শর্টকে।
এবং নতুন সঙ্গী পেয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন হেড। পাওয়ার প্লের শেষ বলে আউট হয়েছেন, তার আগেই পাওয়ার প্লেতে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ২৩ বলে ৫৯ রান হয়ে গেছে। ১৯ বলেই ফিফটি। এর মধ্যে স্যাম কারেনের করা পঞ্চম ওভার থেকেই নিয়েছেন ৩০ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার রান ৮৬!
এত দুর্দান্ত শুরু অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বাকিরা কাজে লাগাতে পারেনি। মাত্র ৮২ বলের মধ্যে ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৯.৩ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও ওপেনারের। শর্ট ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করে ফিরেছেন দলকে ১১৮ রানে রেখে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া জশ ইংলিসই শুধু চেষ্টা করেছেন টিকে থাকার। কিন্তু ৩৭ রান করে তিনিও ফিরে যান।
জশ হ্যাজলউড ছাড়া মূল পেসারদের কেউ নেই অস্ট্রেলিয়া দলে। কিন্তু ১৮০ রানের লক্ষ্যে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ডের রানের গতি কখনোই আদর্শ ছিল না। ৪ বল আগে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক দল। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।