ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাবর আজমের দল। শনিবার (৪ নভেম্বর) কিউইরা আগে ব্যাট করে ৪০২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাকিস্তানকে। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামান ৮১ বলে ১২৬ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয় করেন। ম্যাচে বৃষ্টির হানা দিলে ডিএল মেথডে পাকিস্তান ২১ রানের জয় পায়। ফখরের বিধ্বংসী ব্যাটিং তাণ্ডবের কারণেই ম্যান ইন গ্রিনদের জয় নিশ্চিত হয়। আর এতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে এই ওপেনারের জন্য পাকিস্তানি ১০ লাখ রুপির ঘোষণা আসে।
শনিবার টস জিতে ফিল্ডিং নিতে পাকিস্তানি বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি কিউই ব্যাটারদের সামনে। শাহীন শাহ আফ্রিদি- হারিস রউফরা রান বিলিয়েছেন দেদারসে। সেই সুযোগে কেন উইলিয়ামসন-রাচিন রবিন্দ্ররা স্কোরবোর্ডে জড়ো করেছে ৪০১ রান। তবে পাহাড়সম রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে আব্দুল্লাহ শফিককে হারালেও ফখর ও বাবর আজম ছিলেন ম্যাচ জয়ের পথে। বেঙ্গালুরুর আকাশে কালো মেঘ দেখে জয়ের হিসাব কষেছেন ফখর ও অধিনায়ক বাবর।
একপ্রান্তে ফখর যখন তাণ্ডব চালাচ্ছেন, অপরদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক তার স্বাভাবিক খেলা খেলে ফখরকে সঙ্গ দিচ্ছেন। ম্যাচটিতে ২১.৩ বলে প্রথম বৃষ্টিতে হানা দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দেয় ২৫.৩ ওভারে । এই সময় পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ২০০ রান। আর এদিন ২৫.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ১ উইকেটে রান ছিল ১৭৯। এতেই আর খেলা মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জেতেন ফখর-বাবররা।
শেষ পর্যন্ত ১১টি ছয় ও ৮টি চারে ৮১ বলে ফখর ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফখর। বাবর নটআউট ছিলেন ৬৬ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে ৩৩ বছর বয়সী ওপেনারের হাতে। এরপর তার জন্য বড় চমক ছিল পিসিবি সভাপতি জাকা আশরাফের কাছ থেকে। পিসিপি বস ঘোষণা দেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটারকে দেওয়া হবে ১০ লাখ রুপি।
পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি, ফখরকে ফোনকলে পুরস্কারের কথা জানান জাকা আশরাফ। একইসঙ্গে তিনি আশা করেন পাকিস্তানি ওপেনার যেন আসন্ন ম্যাচগুলোতে নিজের সেরাটা দেন।
নিউজিল্যান্ডেরে সঙ্গে ম্যাচ জয়ে পাকিস্তানের ৮ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট। বাবর আজমের দল ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে আছে। তাই তাদের এখনই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায়নি। তাদের বিশ্বকাপে আর এক ম্যাচ বাকি রয়েছে। ১১ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশদের সঙ্গে ম্যান ইন গ্রিনদের বড় ব্যবধানে জিততে হবে। তাহলেই হয়ত বিশ্বকাপের শেষ চারে তাদের দেখা যাবে।