বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘পঞ্চপান্ডব’ হয়ে এসেছিলেন পাঁচ তারকা খেলোয়াড়। তারা হলেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ বলে পরিচিত মুশফিকুর রহিম, তিন ফরম্যাটেই মিডল অর্ডারের অন্যতম নির্ভরশীল ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটার তামিম ইকবাল। সেদিন খুব দূরে নয়, যখন কোনো ফরম্যাটেই তাদের কাউকেই জাতীয় দলে দেখা যাবে। তাই এই পাঁচজনের প্রতি সম্মান জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান নির্বাচক হান্নান সরকার।
এই পাঁচ তারকা ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন বছরে টেস্ট অভিষেক করেন। মাশরাফির অভিষেক হয় ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মুশফিকের ২০০৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, সাকিবের ২০০৭ সালের ১৮ মে ভারতের বিপক্ষে, তামিমের ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং মাহমুদউল্লাহর ২০০৯ সালের ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
হান্নান সরকার নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওতে বলেন, ‘আমার একটা ইচ্ছা যে এমনটা করা যায় কি না। এটা আসলে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যারা রয়েছেন, বোর্ডের সঙ্গে রয়েছেন, সবাই মিলে চিন্তা করতে পারি, এটা আমার ব্যক্তিগতভাবে নিজের জায়গা থেকে চিন্তা করা। এই পাঁচজনের জার্সি নম্বরটা তাদের অর্জনকে মূল্যায়ন করে আলাদাভাবে রেখে দিতে পারি। এই জার্সি নম্বরগুলো হয়তোবা বাংলাদেশের নতুন কোনো ক্রিকেটারকে না দিয়ে তুলে রেখে দিলাম।’
হান্নান বলেন, ‘আমরা যদি দেখি মিডিয়া বা সবার মধ্যে একটা হাইপ আপনাদের মাধ্যমে জানা যে পঞ্চপাণ্ডব। হয়তো বাংলাদেশ আইসিসি ইভেন্ট বা বড় কোনো ট্রফি জেতেনি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সবার অনেক অর্জন রয়েছে। এটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করি। (সাকিব) আমাদের বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সবার মধ্যে ছিল। তামিম, রিয়াদ কত রান করেছে, সেগুলো আর নতুন করে বলার কিছু নেই।’
বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে হান্নান বলেন, ‘এই (তরুণ) খেলোয়াড়দের অনেকেই সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিক-রিয়াদকে দেখে বড় হয়েছে। তাদের আদর্শ হিসেবে চিন্তা করেই বড় হয়েছে। এই চিন্তা থেকে কখনো হয়তো অনেকের স্বপ্ন জেগেছে, আমি যখন সাকিব ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার হব, তখন তার (সাকিব) ৭৫ নম্বর জার্সি পরে খেলব, মাশরাফির মতো হলে ২ নম্বর পরে খেলব, তামিম হলে ২৮ নম্বর। , আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা এই পাঁচজনের আদর্শ মেনেই বড় হয়েছে।’
৩৫ বছর বয়সী তামিম ইকবাল ৭০ টেস্টে ৫১৩৪ রান, ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রান করেন এবং লাভ করেন ৪৩টি উইকেট, ৩৭ বছর বয়সী সাকিব আল হাসান ৬৬ টেস্টে ৪৪৫৪ রান করেন এবং শিকার করেন ২৩৩টি উইকেট, ৩৭ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম ৯২ টেস্টে ৫৯৬১ রান, ৪১ বছর বয়সী মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩৬ টেস্টে ৭৯৭ রান করেন এবং ৭৮টি উইকেট লাভ করেন।