২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি গল্পটি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কারণ সম্পতি ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতীয় দলের একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার প্রস্তাবের কারণে পিসিবি টুর্নামেন্ট বয়কট করার যে হুমকি দিয়েছে, তাতে তারা আইসিসির আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে পারে।
ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে প্রতিবেশী দেশে যেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সমস্যায় পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। আইসিসি, রোববার পিসিবিকে চিঠি দিয়ে বলেছে, আট দেশের এই টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানে যেতে ভারত অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি ইতোমধ্যেই বলেছেন যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান হাইব্রিড মডেল নিয়ে ভাবছে না। এখন পাকিস্তান সরকার দেশটির ক্রিকেট দলকে টুর্নামেন্ট থেকে প্রত্যাহার করার কথা বিবেচনা করছে।
ক্রিকবাজের মতে, যদি পাকিস্তান টুর্নামেন্ট বয়কট করে, তাহলে আয়োজক দেশ হিসেবে তাদের প্রাপ্য অর্থ তহবিল কেটে নেওয়া হবে। সেখানে আইসিরি পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে আয়োজক দেশ হিসেবে যে ৭৭৫ কোটি ৯১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে, তার পুরোটাই বাতিল হয়ে যাবে।
আপাতত পিসিবিকে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যদি তারা হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আইসিসি পিসিবি আয়োজক দেশ হিসেবে পুরো অর্থই পাবে। এবং টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচই আয়োজন করতে পারবে।
এদিকে, পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা বিসিসিআই থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব পায়নি।
তিনি বলেন, ‘তাদের (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের) কোনো সমস্যা থাকলে তারা অবশ্যই লিখিতভাবে আমাদের জানাবে। আজ অবধি, আমরা কোনও হাইব্রিড মডেল সম্পর্কে কথা বলিনি, তবে আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত।’ পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সম্প্রতি লাহোরে সাংবাদিকদের বলেছেন।
২০০৮ সালের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত আর পাকিস্তান সফর করেনি। দুটি দল শুধুমাত্র আইসিসি টুর্নামেন্টে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। তবে পাকিস্তান ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছে। আর দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট ছাড়া বিভিন্ন খেলার (টেনিস, দাবা, ভলিবল ইত্যাদি) পারস্পরিক সফর অব্যাহত রয়েছে।