• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রীলঙ্কাকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম
শ্রীলঙ্কাকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
রিজওয়ান ও ইফতেখার। ছবি : সংগৃহীত

দুইবার বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে। অঘোষিত সেমিফাইনালে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ শফিকের অর্ধশতকে লঙ্কানদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে পাকিস্তান। শফিক ৫২ রান করে ফিরে গেলেও মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। 

নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘন্টা পর মাঠে গড়ায় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়াতে ম্যাচের দৈর্ঘ  নেমে আসে ৪৫ ওভারে। এরপর টস জেতার পর সবাইকে চমকে দিয়ে ব্যাটিং নিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৯ রানে ৪ রান করা ওপেনার ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান।

দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম সঙ্গী করে আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো। ৬৪ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন এই দুজন। এরপরিই ভেল্লালাগের বলে বাবর স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান। বাবরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। পাকিস্তান অধিনায়কের বিদায়ের পর আবার পথ হারিয়েছে পাকিস্তান।

বাবর আউট হওয়ার পর ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়ে গিয়েছিলেন শফিক, কিন্তু এরপরই আউট হয়ে গেলেন তিনি। পাথিরানার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে তাঁর বিদায় ৫২ রান করে, পাকিস্তানের রান তখন ঠিক ১০০। 

শফিককে গতির ওপর করা বাউন্সারে ফেরানো পাথিরানা পরের ওভারেই আউট করে দিলেন মোহাম্মদ হারিসকেও। তিনি শিকার পাথিরানার স্লোয়ার বাউন্সারে! পাথিরানার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। হারিস আউট হন ৩ রানে।

এরপর পাকিস্তানের আরেক চমক। ছয় নম্বরে ইফতিখারকে না নামিয়ে মোহাম্মদ নওয়াজকে নামিয়ে দিয়েছে। হয়তো স্পিনারদের সামাল দিতেই। কিন্তু তিকসানার অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে নওয়াজ ফিরে গেছেন ১২ রান করে। তার বিদায়ের পর বৃষ্টির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। প্রায় আধঘন্টা পর ম্যাচ শুরু হলে আরও তিন ওভার কমিয়ে ম্যাচের পরিধি নেমে আসে ৪২ ওভারে। 

এরপর ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের রান পেরই ২০০। রিজওয়ান তুলে নেন অর্ধশতক। এই দুই জনের জুটি যখন ১০৮ রান ছাড়ায় তখনি বিদায় ইফতেখারের। অর্ধশতক থেকে তিন রান দূরে থাকতে মাথিসা পাতিরানার বলে আউট হন তিনি। ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪০ বলে ইফতেখার করেন ৪৭ রান। এরপর দ্রুত ফিরে যান সাদাব খানও ৩ রানে। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ানের অপরাজিত ৮৬ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তোলে। মাথিসা পাতিরানা লঙ্কানদের হয়ে নেন তিন উইকেট।

Link copied!