পাকিস্তান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছে সোমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে। কিন্তু তারা আরও একটু সতর্কতার সঙ্গে খেলে বিশেষ একটি সমীকরণ মেলাতে পারলেই `এ` গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে যেত। ২০০৯ ও ২০১০ সালের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড শক্তিশালী দল হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা ভালো খেলতে পারেনি। যদিও সে সুযোগটি লুফে নিতে পারেনি পাকিস্তান দল। প্রথম কথা হলো, পাকিস্তানি ফিল্ডাররা ৮টি ক্যাচ মিস করার পরও কিউইরা মাত্র ১১০ রান করতে সক্ষম হয়। অথচ, মিস ক্যাচগুলোর কয়েকটিও যদি লুফে নিতে পারতো তাহলে অন্তত ২০ রান কম হতো নিউজিল্যান্ডের। আর তাতে জয় পেতে সহজ হতো পাকিস্তানের। দ্বিতীয় কথা হলো, পাকিস্তান জয়ের কয়েকটি সমীকরণ পায় সেমিফাইনালে উঠার জন্য। সেগুলো হচ্ছে, পাকিস্তানকে ১১১ রান করতে হতো ১০.৪ ওভারে অথবা ১১২ রান করতে হতো ১০.৫ ওভারে কিংবা ১১৩ রান করতে হতো ১১ ওভারে নতুবা ১১৪ রান করতে হতো ১১.১ ওভারে। এই সমীকরণ কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। যার একটি মেলাতে পারলেই শেষ চারে উঠে যেত ফাতিমা সানার দল। পাকিস্তান তাদের ইনিংস শুরু করেছিল কিছুটা হলেও সেভাবে। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে কিংবা আত্নবিশ্বাসের ঘাটটির কারণে শেষ পর্যন্ত ঐ সমীকরণ মেলানো সম্ভব হয়নি পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের। ফলে নিজেরা হেরে এবং ভারতকে সঙ্গী করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। এই গ্রুপ থেকে বিদায় নিলো এশিয়ারই তিন দেশ পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। `বি` গ্রুপ থেকে এশিয়ার অপর দেশ বাংলাদেশও বিদায় নিয়েছে। ফলে এশিয়া ছাড়াই সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।