বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠের পিচ মানেই স্পিন স্বর্গ। এখানে বলের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হবে প্রতিপক্ষ এমনটাই হওয়ার কথা। তবে এবার মিরপুরের পিচ যেন বিপরীত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেসারদের আধিপত্যেই চারদিনেই ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। সবুজ উইকেটে ইবাদত-তাসকিনদের সুইং, গতি আর বাউন্সে একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন আফগান ব্যাটাররা।
আফগানদের বিপক্ষে এই ম্যাচে ২০ উইকেটের মধ্যে ১৪ উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইংসে নেয় ৮ উইকেট। কোনো টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশি পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। এর আগে ১৩ উইকেট নিয়েছিল টাইগার পেসাররা। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছিল তারা। এর আগে ২০০২ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছিল পেস বোলাররা। ওই টেস্টে প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট উইন্ডিজ।
প্রথম ইনিংসে আফগান শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়েছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। ৪৭ রান দিয়ে ৪ আফগান ব্যাটারকে আউট করেছিলেন তিনি। দুই উইকেট নিয়েছিল শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে এবার আফগানদের দিশেহারা করেন ইনজুরি থেকে ফেরা তাসকিন আহমেদ। প্রথম ইনিংসে উইকেট শুন্য থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিনে আফগান শিবির ধসান তিনি। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া ইবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট পেলেও নিয়ন্ত্রিত বল করেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন তরুন পেসার শরিফুল ইসলাম। নেন তিন উইকেট।
দিন দিন যে পেসারদের বলে ধার বাড়ছে তা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সেই চোখে পড়ে। আফগানদের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক লিটন দাসও তা স্বীকার করলেন। তিনি জানান, উইকেটের সাহায্য নিয়ে পেসাররা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করেছে।