ভারত পারে ভালো ব্যাটিং করতে, পারে অসাধারণ বোলিং করতে। অথচ, নিজেদের মাটিতে তার কিছুই পারে না অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানের পেছনে কি কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা।
অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুম কি দুই বিভক্ত হয়ে গিয়েছে? দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন প্যাট কামিন্স এবং স্টিভ স্মিথরা? অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেট তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট যে মন্তব্য করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, বিভাজন তৈরির স্পষ্ট ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে।
আর পুরোটার নেপথ্যে আছে জোশ হেজেলউডের একটি মন্তব্য। পার্থে তৃতীয় দিনের খেলার শেষে অস্ট্রেলিয়ার তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন হেজেলউড। তখন তাদের মাথার উপরে ৫৩৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে ভারত। রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। হেজেলউডকে প্রশ্ন করা হয় যে, ‘আগামিকাল (সোমবার) আপনাদের মানসিকতা কেমন থাকবে? আজ কি হল? সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আপনারা কাল কি করবেন?’
সেই প্রশ্নের জবাবে হেজেলউড বলেন, ‘সম্ভবত একজন ব্যাটারকে সেই প্রশ্নটা করা উচিত আপনার। আমি এখন আরাম করব। ফিজিওর কাছে যাব। কিছুটা রিকভারির চেষ্টা করব। আমি সম্ভবত পরবর্তী টেস্টের দিকেই বেশি নজর দেব এবং ভাবব যে এই ব্যাটারদের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করা যায়।’
অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার আরও দাবি করেন, ‘আমার ধারণা, ব্যাটাররা যে প্রস্তুতি নেয়, তাতে অবিচল আছে। ওরা সকালে অনুশীলন করবে।’
সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফক্স স্পোর্টসে গিলক্রিস্ট বলেন, ‘এটা বলছে যে ড্রেসিংরুমে সম্ভবত বিভাজন তৈরি হয়েছে। আমি জানি না যে সেটা হয়েছে কিনা। হয়তো আমি (হেজেলউডের মন্তব্য নিয়ে) বেশি কাটাছেঁড়া করছি।’
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমে বিভাজন তৈরি হয়েছে বলে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, সেটা আরও উসকে দেওয়ার কোনও সুযোগ ছাড়েননি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। ফক্স স্পোর্টসে তিনি দাবি করেছেন যে অস্ট্রেলিয়ার দলে কখনও এরকম দেখেননি।
যদিও হেজেলউডের মন্তব্যে বিভাজনের কিছু দেখছেন না ডেভিড ওয়ার্নার। ওই সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘ওই কথাটার হয়ত কোনও দরকার ছিল না। কিন্তু সেটার মানে এই নয় যে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমে বিভাজন তৈরি হয়েছে।’