দুর্বার রাজশাহীর স্থানীয় ক্রিকেটারদের আপত্তির মুখে বুধবার অনুশীলন হয়নি। বেতন সংক্রান্ত জটিলতায় বিসিবিকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। বুধবার রাতে ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় ক্রিকেটারদের বেতন দেওয়া হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজির অপারেশন ইনচার্জ জানিয়েছেন, বিপিএলের এক ম্যাচে হাতে বল লেগে আহত হয়েছিলেন মালিকের স্ত্রী। তার চিকিৎসায় ব্যাংককে থাকায় বেতন পেতে সমস্যা হয়েছে ক্রিকেটারদের।
এবার বলা হয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই খেলোয়াড়দের ৫০ শতাংশ বেতন দিয়ে দেওয়া হবে, টুর্নামেন্ট চলাকালে ২৫ এবং শেষে বাকি ২৫ শতাংশ। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর অধিনায়ক এনামুল জানান, তারা এখনো কোনো টাকা পাননি। তবে আপাতত নেতিবাচক কিছু ভাবছেন না।
গত ৬ জানুয়ারি বিদেশি ক্রিকেটারদের ২৫ ভাগ বেতন দেওয়া হলেও স্থানীয় ক্রিকেটাররা কিছু পাননি। ৯ জানুয়ারি তাদের দেওয়া চেক বাউন্স হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আপনাদের মনে আছে, যেদিন আমাদের মালিক (শফিক রহমান) এর স্ত্রী মাঠে গিয়েছিলেন, সেদিন (২ জানুয়ারি) তার হাতে বল লেগেছিল, হাড়ে চিড় ধরেছিল। তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নেওয়া হয়েছে। আমাদের মালিক তার সঙ্গে আছেন।’
মালিক দেশের বাইরে ছিলেন বলেই চেক বাউন্স হয়েছে বলে দাবি করেছেন জায়েদ, ‘আমরা আগেই চেক দিয়ে রেখেছিলাম, তাই মালিক বলেছিলেন তিনি দেশে ফেরার আগে যেন চেক ব্যাংকে না দেওয়া হয়। তা না হলে ব্যাংক ফোন দিয়ে আমাকে পাবে না। আমরা সব ক্রিকেটারকে এটা বলে রেখেছিলাম, কিন্তু এক বা দুজন চেক দিয়েছিলেন। তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে মালিক ব্যাংককে আছেন।‘