আইসিসির সুপার লিগে তিন নম্বরে থেকে চলতি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে যায় বাংলাদেশ। তাই টাইগারদের প্রত্যাশাটাও ছিল অনেক। ১৩তম আসরে অন্তত সাকিব আল হাসানের দল সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলবে। বিন্তু বিশ্বমঞ্চে জয় দিয়ে শুরু করার পর একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে। তাদের হারের যাত্রা শেষ হবে কোথায়, সেটা মনে হয় স্বয়ং বিধাতাও জানেন না। এবার নিজেদের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের হারের পর ভাগ্যকে দুষলেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ কয়েকবারই হেসে হেসে উত্তর দিলেন মিরাজ। সাত ম্যাচের কেবল একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। টানা হারের কারণে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ অনেক আগেই। যেটুকু আশা বেচে ছিল খাতা কলমে সেটাও শেষ হয়ে গিয়েছে বাবর আজমদের কাছে হেরে। এখন বিশ্বকাপে টাইগারদের একটাই লক্ষ্য ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। কারণ এই আসরে যারা অষ্টম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে তারাই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ পাবে।
এখন আর দুটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। এই দুই ম্যাচে হারাতে হবে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে। এরপরও তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের দিকে। শেষ অবধি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না পারলে সেটা দেশের জন্য কত বড় বিপর্যয় হবে? উত্তরে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “আমাদের কিন্তু ভাগ্যটাও কাজ করছে না। আমরা চেষ্টা করছি। সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করছে। কেউ তো খারাপ খেলতে চায় না। দিনশেষে আমরা সবাই চেষ্টা করছি। কিন্তু একটা জিনিস দেখেন অনেকসময় লাক ফেভার করছে না। ”
মিরাজ আরও বলেন, “আমরা ব্যাটসম্যানরা যেখানে খেলছি, সেখানে হাতে চলে যাচ্ছে বল। ক্যাচ হচ্ছে অথবা ফিল্ডিং করছে। বোলিং যখন করছি কিছু না কিছু হচ্ছে। এরকম তো কখনোই হয়নি, বিগত তিন বছর ধরে ওয়ানডে আমরা খেলছি। কিন্তু আমার মনে হয় লাকটা একটু কম কাজ করছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আবার কামব্যাক করবে।”
দলের অবস্থা এখন কেমন এ নিয়ে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, “হারলে তো সবারই খারাপ লাগে। কিন্তু দিনশেষে ক্রিকেট খেলায় হার জিত থাকবে এটা মেনে নিতে হবে। তারপরও বিশ্বকাপে আমাদের দুটি ম্যাচ আছে, ওগুলোতে ওভাবেই প্রস্তুতি নেবো।”
সাত বছরের বেশি সময়ের ক্যারিয়ার মেহেদী হাসান মিরাজের। বেশ কিছু আইসিসি ইভেন্টেই অংশ নিয়েছেন তিনি। খেলেছেন সবশেষ বিশ্বকাপেও। এমন খারাপ অবস্থা কী দলের ভেতর কখনো দেখেছেন? এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল পাকিস্তান ম্যাচের পরের সংবাদ সম্মেলনে।
উত্তরে মিরাজ বলেন, “এরকম কখনই হয়নি। আমাদের ভাগ্য সহায় হচ্ছে না। সবাই চেষ্টা করছে কিন্তু। প্র্যাকটিস করছি, পরিকল্পনা করছি। কিন্তু ভাগ্য না থাকলে সফল হবেন না। দিনশেষে আল্লাহর রহমত দরকার, ভাগ্য দরকার। বিশ্বাস করি এটা বেশি দিন যাবে না, আমরা কামব্যাক করব।”