গত বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের মধ্যকার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট (ডিপিএল) সুপার লিগের এক ম্যাচে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন আইসিসির প্যানেলভুক্ত নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। নারী আম্পায়ারকে দেখে ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেন দুই দলই। ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি ম্যাচ। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর জেসিকে নিয়েই শুরু হয় খেলা।
আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, তারা (দুই দল) এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু পরে মেনে নিয়েছে। তিনি (জেসি) আইসিসির একজন অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। তাকে যেহেতু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই মূল্যায়ন করে দেওয়া হয়েছে। এখন এটা না মানলে তো আমরা বৈষম্য করছি।
যেখানে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাকে অনুমোদন দিয়েছে, সেখানে ডিপিএলের দুই দল যেন ভুলে বসেছে সব নিয়ম-নীতি। তাই শাস্তির মুখে পড়তে পারে দুদলই। ম্যাচ অফিসিয়ালের রিপোর্টের পর সিদ্ধান্তের ভার সিসিডিএমের।
শাস্তির বিষয়ে মিঠু বলেন, শাস্তি দেওয়ার বিষয়টা আসলে সিসিডিএমের। আমি শাস্তি দেওয়ার কেউ না। আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো কী হয়েছে। যদি এটা আসলেই হয়ে থাকে তাহলে এটা আসলে বৈষম্য। তিনি একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, নারী হোক বা পুরুষ।
মোহামেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘আমরা জেসির বিপক্ষে কোনোরকম আপত্তি উত্থাপন করিনি। এখানে ছেলে ও মেয়ের বিভাজন করিনি। আমরা চিন্তা করেছি মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক বিগ ম্যাচের উত্তেজনার সাথে তাল মেলাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল আমাদের।’
একই ম্যাচের অন্য ঘটনা মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ আউট। আবু হায়দার রনির এই ক্যাচ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুশি।
এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘মুশফিকও তো জানে নিয়মটা কী। মুশফিক দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। এটা নিয়ে যে আম্পায়ারদের দোষারোপ কেন করলো সেটা বোধগম্য নয়।’