ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনিশ্চয়তা যেন কাটছেই না। কোথায় হবে, কখন হবে, সব দল অংশ নেবে কি-না তা নিয়ে এখনো কাটেনি জটিলতা। অতীতে পাকিস্তান বারবার ভারতের চাওয়া, চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সমঝোতায় অংশ নিলেও এবার বেঁকে বসেছে। ভারতও তাদের কথায় অনড়।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে তাই শঙ্কা এখনো কাটেনি। এতসব অনিশ্চয়তার মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অফিশিয়াল ট্যুর শুরু করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। শুক্রবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পৌঁছেছে ট্রফিটি।
আগামী ১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে থাকবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খ্যাত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দশদিনের সফরে ট্রফিটি পাকিস্তানের মুরি, হুনজা, মুজাফফরাবাদ ও স্কারদুতে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরের অংশ হিসেবে আরোহণ করবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচুঁ পাহাড় ‘কেটু’তে। তবে টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ভেন্যু হতে যাওয়া লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে যাচ্ছে না ট্রফিটি। বায়ুদূষণের মুখ্য কারণের পাশাপাশি অন্য শহরগুলোকে পর্যটনমুখী করতে এমন সিদ্ধান্ত পিসিবি এবং পাকিস্তান সরকারের।
যে সব দেশ টুর্নামেন্টে অংশ নিবে, সে সব দেশেই পর্যায়ক্রমে ঘুরবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও আসবে ট্রফিটি। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে দেশে। ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ট্রফি প্রদর্শনের কথা রয়েছে। বিসিবি আশা করছে, ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই অভিজ্ঞতা হবে অনন্য এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের উচ্ছ্বাস বাড়বে।
অবশ্য টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। পাকিস্তানের গলার কাঁটা হয়ে ওঠা ভারতই এর মূল কারণ। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ভারত এখনো পাকিস্তানে খেলতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ভারতের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলও প্রত্যাখান করেছে পাকিস্তান। এমনকি এবারের পুরো আসর শেষমেশ পাকিস্তানে আয়োজিত না হলে বয়কটের হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি। তবে অনিশ্চয়তার দোলাচলে বল এখন আইসিসির কোর্টে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমঝোতায় মনযোগী ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।