মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য ফুটবলারদের লড়াই করার ঘটনা বিশ্বে বিরল। তবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেই বিরল কীর্তিই গড়েছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ভারতে নানা প্রদেশে ম্যাচ খেলে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল গড়তে সহায়তা করেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।
জাকারিয়া পিন্টু, কাজী সালাউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি স্বাধীনতা পদক পেলেও দলটি এখনো স্বাধীনতা পদক পায়নি। অবশ্য পদক না পেলেও দলের সকল খেলোয়াড়ই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, স্বাধীন বাংলা দলের সকলকেই সম্মাননা হিসেবে মাসিক ভাতা প্রদান করে আসছে। শুরুতে ভাতার পরিমাণ ছিল মাসে ৩ হাজার টাকা। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। অথচ মাসিক ভাতা সেই ৩ হাজারই রয়ে গেছে।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা এই সম্মানী প্রসঙ্গে বলেন, “এই ভাতার সম্মানীর অঙ্ক অবশ্যই বাড়ানো উচিত। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে অনেকেই রয়েছে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় এবং অসুস্থতায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এই অঙ্ক বাড়লে তাদের অনেক উপকার হয়।”
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বর্তমান সচিব পরিমল সিংহ বলেছেন, “আমরা এই বিষয়টি অবগত এবং এটি নিয়ে কাজ করা হবে। দীর্ঘদিন থেকেই তাদের ভাতা মাসিক ৩ হাজার করে। সময়ের প্রেক্ষাপটে এখন এটি খুবই সামান্য।”
দলের অন্যতম সদস্য শেখ আশরাফ আলী বলেছেন, “মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তেমনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও বৃদ্ধি করতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুক্তিযোদ্ধা ভাতায় আমি মারা গেলে স্ত্রী-পরিবার পাবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভাতা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় মারা গেলেই তা স্থগিত হয়ে যায়। ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফুটবলারের মৃত্যুর পরও এটা পরিবারকে দিতে পারে।”