বিশেষ কারণে এবার ভারতের আইপিএলে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়কেই নিলামে তোলা হয়নি। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন আইপিএলের বিভিন্ন আসরে খেলেছেন। বিশেষ করে সাকিব ও মোস্তাফিজ তো আইপিএলের সঙ্গে মিশেই গিয়েছিলেন। এবার তাদের সঙ্গে নাম লিখিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস সহ অনেকেই। বলা যায়, সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি খেলোয়াড় ছিলেন এবারের নিলামে। অথচ, রহস্যজনক কারণে বাংলাদেশিদের অবজ্ঞা করা হলো নিলামে।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কতটা যোগ্য তার প্রমাণ মাত্র কিছুদিন আগে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। দুই বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে লিটন দাস-তাসকিনরা। যেটা হয়তো ভারতের পক্ষেও সম্ভব নয়। দুই দলের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-২ ব্যবধানে ভারতকে পরাজিত করে। সেটা ছিল ২০২৩ সালে। তাই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ফেলনা ভাবার কোনো কারণ নেই।
যাইহোক, ভারতে দল না পেলে যে প্রতিভার কদর থাকে না, তা কিন্তু নয়। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) আসন্ন আসরে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের। বাংলাদেশি এই পেসার ইতোমধ্যেই ড্রাফটের জন্য নাম জমা দিয়েছেন।
বুধবার ২৫ ডিসেম্বর পিএসএলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে মোস্তাফিজের পিএসএলের ড্রাফটে নাম দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মোস্তাফিজের ছবি পোস্ট করে তারা ক্যাপশনে লিখেছে, ‘বাংলাদেশের পেস সেনসেশন মোস্তাফিজ পিএসএলের ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন।’
আগামী ৮ এপ্রিল শুরু হবে পিএসএলের এবারের আসর। কাছাকাছি সময়ে আছে আইপিএলও। তাই আইপিএলে দল না পাওয়া ক্রিকেটাররা অনেকেই এবার পিএসএলের দিকে ঝুঁকছেন। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ তাদেরই একজন।
গতবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। আসরে ৯ ম্যাচে ৯.২৬ ইকোনমি রেটে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন বাংলাদেশের এই পেসার। তাই এবারও দল পাওয়ার আশা ছিল তার। কিন্তু অজানা এক কারণে তাকে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। মোস্তাফিজ এর আগেও পিএসএলে খেলেছেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএল খেলেছিলেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৪টি উইকেট। সেবার তার ইকোনমি ছিল মাত্র ৬.৪৩।
পিএসএলের ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের আরও কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা, ইংল্যান্ডের ডেভিড উইলি ও জেসন রয়ের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।